প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে সাধারণ মানুষের তো নিরাপত্তা একেবারেই নেই। কিন্তু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ভবন গুলিতেও কি ক্রমশ নিরাপত্তাহীনতার ছবি স্পষ্ট হতে শুরু করেছে? এবার ঐতিহ্যবাহী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে একেবারে ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার হলো এক ছাত্রীর দেহ। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। আর সেই ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আরও একবার উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। আর ক্যাম্পাসের ভেতরে একটি ঝিল থেকে তৃতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে খবর। পরবর্তীতে তাকে তড়িঘড়ি কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য উত্তাল হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি তুলেছিলেন সকলেই। কিন্তু তারপরেও একেবারে ক্যাম্পাসের ভেতরে আরও এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান অবশ্যই হবে। কিন্তু অত রাত পর্যন্ত কেন অনুষ্ঠান চলছিল? এটা একটা বড় প্রশ্ন। আর অনুষ্ঠান যদিও বা হয়, তাহলে কেন ক্যাম্পাসের ভেতরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল না? এত বড় পরিকাঠামো যে বিশ্ববিদ্যালয়ের, এত নাম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন বারবার গাফিলতির সামনে আসবে? কেন পড়তে এসে প্রাণ দিতে হবে নিরীহ পড়ুয়াদের? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। এখন তদন্তের গতি প্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, কিভাবে এই পড়ুয়ার মৃত্যু হলো, এর পেছনে অন্য কারও হাত রয়েছে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।