প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মত পশ্চিমবঙ্গেও যে এসআইআর হতে চলেছে এবং সেটা যে শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা, তা সকলেই জেনে গিয়েছে। আর এই খবর নিশ্চিত করে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। আর তিনি খুব ভালো মত জানেন যে, এসআইআর হলে তার দল আর ক্ষমতায় আসবে না। তাই এখন থেকেই যা ইচ্ছে তাই বলে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবিধানিক সংস্থাকে তিনি আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন। এর আগে যখন সিএএ হয়েছিল, তখনও এনআরসি করা হচ্ছে বলে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তুলেছিলেন এবং যার ফলে অনেক সরকারি সম্পত্তি থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছিল। আর এবারেও যাতে এসআইআর না হয়, তার জন্য এনআরসির আতঙ্ককে সামনে এনে তিনি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর তেমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই এসআইআরের আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে সমস্ত প্রস্তুতি নিতে হয়, সেই সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সকলেই বলছেন যে, এসআইআরের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। আর তাতেই কি রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস? ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এসআইআরের নাম করে ঘুরপথে এনআরসি করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার এই অভিযোগ যে সর্বৈব মিথ্যা, অতীতের মতই তিনি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তুলে এসআইআর যাতে না হয়, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন, সেই ফন্দি ধরে ফেললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তিনিও মন্তব্য করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।

এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এর আগে উনি সিএএকে এনআরসি বলেছেন। সিএএ চালু হয়ে গিয়েছে, এনআরসি হয়নি। একটা মুসলিমকেও বাংলা ছাড়তে হয়নি। এসব কথা বলে ওনাদেরকে উস্কে, এর আগে হাজারদুয়ারি পুড়িয়েছে, ৩৭ টা বাস পুড়িয়েছে নবান্নের সামনে, হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসকে খুন করেছে, সব লুট করেছে। বাংলার মানুষ দেখছে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই, এর প্ররোচনাতেই আইনশৃঙ্খলা আজকে এই জায়গায় গিয়েছে।”