প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
একটা সময় ছিলো, যখন ভোটের আগে নানারকম হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসতেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মাঝে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছিল তাকে। জেল থেকে ফিরে আসার পর তাকে সেই ভাবে আর বড় বড় কথা, চোখ রাঙানি দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু যখন বিধানসভা ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে, তখন আবার ময়দানে টিকে থাকতেই কি গরম গরম কথা বলা শুরু করলেন অনুব্রত মণ্ডল? ভোটের আগে ফের “ভয়ংকর খেলা হবে” বলে তার গলা থেকে যে সুর শোনা গেল, তাতে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে যে, আবার কি সেই ২৬ এর নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের শাসক দল?

দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। জেলে থাকার পর তিনি টাইট পেয়ে গিয়েছেন। আর সেই কারণেই জেল থেকে ফিরে আসার পর রাজনীতি করলেও সেভাবে অতীতের মত গরম গরম কথা বলতে তাকে দেখা যাচ্ছে না। আসলে তিনি তিহারের জেলে যন্ত্রণার কথা ভেবেই আর বেশি বাড়াবাড়ি করছেন না বলে খোঁচা দিতেন বিরোধী নেতারা। কিন্তু ফের হঠাত করেই আবার সেই অনুব্রত মণ্ডল কি নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিমায় ফেরার চেষ্টা করছেন? ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভয়ংকর খেলা হবে বলে চোখ গরম করে তিনি যে মন্তব্য করলেন, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি বীরভূমে আবার বিরোধীশূন্য করার খেলা শুরু করবে এই রাজ্যের শাসক দল?

এদিন বীরভূমের একটি কর্মসূচিতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তার আগেই যে খেলা আজ থেকে শুরু হলো, তা ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। আর তার সুরেই সুর মিলিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এই যে মন্ত্রী যেটা বলে দিলো, খেলা শুরু হবে, ১৭ তারিখ থেকে। আর শেষ হবে কবে? ইলেকশনের পর। ১০০ বার খেলাতে থাকবো, ভয়ংকর খেলা হবে।” আর অনুব্রত মণ্ডল যখন এই ধরনের কথা বলছেন, তখন পাল্টা দিচ্ছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্যড, আসলে অনুব্রত মণ্ডলের পাল্লা ক্রমশ কমছে বীরভূম জেলার রাজনীতিতে। কাজল শেখের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের কথা এখন সকলেই জানে। তাই নিজে ময়দানে টিকে থাকতে এবং দলের কাছে নিজের কদর বাড়াতেই এই ধরনের হুমকি, হুঁশিয়ারি এবং উত্তেজক কথা বলে নিজের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কেষ্ট মন্ডল। তবে দিনের শেষে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই মানুষ খেলবে এবং ভোটের বাক্সে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।