প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে. কিন্তু কোথাও থেকে কোনো খবর না আসলেও, যত কান্ড, তা ঘটছে এই পশ্চিমবঙ্গেই। প্রথম থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, এসআইআরের কাজের চাপ নিতে না পেরে অনেক বিএলও প্রাণ হারাচ্ছেন। এমনকি অনেক সাধারন মানুষ পর্যন্ত এই আতঙ্কে প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি করছে রাজ্যের শাসক দল। তবে এর মাঝেই বিজেপির পক্ষ থেকে আবার পাল্টা কটাক্ষ করে বলা হয়েছিল যে, অনেক জায়গাতেই অবৈধ ভোটারদের রেখে দিতে বাবাকে শ্বশুর বানানো হচ্ছে। এমনকি শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের ভোটার লিস্টে রাখার জন্য ভাই, বোন সমস্ত কিছু গুলিয়ে ফেলে যা ইচ্ছে তাই সম্পর্ক তৈরি করে ফেলা হচ্ছে। যাতে তৃণমূল তাদের অবৈধ ভোটব্যাংক বজায় রাখতে পারে। আর তার জন্যই বিএলওদের দিয়ে মিথ্যে তথ্য সিস্টেমে আপলোড করার অভিযোগ তুলেছিল পদ্ম শিবির। আর এসবের মধ্যেই এবার এনুমারেশন ফর্ম যেদিন জমা দেওয়ার শেষ দিন, ঠিক সেই দিনেই ভোটার লিস্টের শুদ্ধিকরণের দাবিতে বড় মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের কাজ প্রায় শেষ লগ্নে। আজই এনুমারেশান ফর্ম আপলোড করার শেষ দিন। ফলে আজ রাত ১২ টার পরেই ধীরে ধীরে কত অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাচ্ছে, কারা জায়গা পাচ্ছেন, সেই সম্পর্কে একটা ধারণা সকলের সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তার মধ্যেই এসআইআর আবহে কিভাবে অবৈধ ভোটারদের নাম রেখে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। যেখানে তিনি বলেন, “আমরা ভোটার লিস্টের শুদ্ধিকরণ চাই। কবর থেকে উঠে এসে যারা ভোটার লিস্টে ঢুকে গিয়েছিল, তারা যেন বেরিয়ে যায়। যাদের ফর্ম ফিলাপ দেখে বোঝা যাচ্ছে, ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাদের নাম যেন বাদ যায়। অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একটি বিশুদ্ধ ভোটার লিস্ট পাক, এটাই আমরা চাই। এতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত থাকবে। ভারতবর্ষের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, যার সঙ্গে আপোষ হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব।”