প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যের বুকে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেই যাদবপুরে যেভাবে সমাজ বিরোধীদের আখড়া তৈরি হয়েছে, যেভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে বাম এবং অতিবাম ছাত্র সংগঠন নিজেদের মত করে সবকিছু পরিচালিত করার চেষ্টা করছে এবং মেধাকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় চর্চা হয়েছে। সম্প্রতি আবার সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি, সকলের দাবি করছেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে বাম এবং অতিবাম ছাত্র সংগঠনের নৈরাজ্য চলছে। যার ফল স্বরূপ একের পর এক প্রাণ চলে যাচ্ছে। কিন্তু এতদিন বাম এবং অতিবামের কোনো ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই ভাবে কোনো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ কর্মসূচি নজরে আসছিল না। কিন্তু এবার হঠাৎ করেই তারা যাদবপুরের ছাত্রী রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ময়দানে নেমে পড়লেন। যার ফলে আবার বেশ কিছু প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
এদিন হঠাৎ করেই বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআইকে যাদবপুরের ক্যাম্পাসের ভেতরে মিছিল করতে দেখা যায়। কি করে তারা উদয় হলেন? এতদিন ধরে তারা কোথায় ছিলেন! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিন এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে যাদবপুরে যে ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু ঘটেছে, সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরেই একটি মিছিল করা হয়। যে মিছিল থেকে তারা দাবি জানায় যে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এটা অনেকটা ভূতের মুখে রাম নামের মত শোনাচ্ছে না? যে বামপন্থী শক্তিরা সব থেকে বেশি যাদবপুরের ক্যাম্পাসের ভেতরে রয়েছে, তারাই কিনা দাবি করছে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের কথা! অনেকে তো এটাও বলছেন, যাদবপুরকে দিনের পর দিন দেশবিরোধী হাব হিসেবে তৈরি করে এই সমস্ত বামপন্থী গুটিকয়েক ছেলে, মেয়েরাই আজকের সেখানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অংশকে নেশার পরিবেশের রুপায়িত করেছে তারা। যার ফলস্বরূপ আজকে আরও এক পড়ুয়ার প্রাণ চলে গেছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যখন পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে, তখন কোনো কুলকিনারা পেয়ে এখন ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতেই এসএফআইয়ের এই নাটক শুরু হয়ে গেল ক্যাম্পাসের মধ্যে বলেই দাবি করছেন একাংশ।
বাম বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির একটাই প্রশ্ন যে, এতদিন এসএফআই কোথায় ছিল? যে ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, শোনা যাচ্ছে, তিনিও নাকি বাম সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে তো এই এসএফআইয়ের নেতা-নেত্রীদের অনেক আগেই সুর চওড়া করা উচিত ছিল। তাহলে প্রথম দিন থেকে তারা প্রতিবাদ না জানিয়ে চুপ করেছিলেন কেন? স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয় নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবেই। হঠাৎ করে ঘটনা ঘটার এতদিন পরে কেন তারা রাস্তায় নামলেন? যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে, তারপরেই আরএসএসের ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু তারা সেদিন কেন নীরবতা পালন করেছিলেন? তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে! কি কারনে সেই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, তা তো তদন্তে বের হবে। কিন্তু তদন্তে যদি অন্য কিছু বের হয়ে যায়, যদি তাদের বিপদ বাড়ে, তার জন্যই কি আগেভাগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের এইভাবে ময়দানে নামা? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।