প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ ৫ লক্ষ কন্ঠে যে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল এবং সেখানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, চাইলেই সেখানে তিনি আসতেই পারতেন। কিন্তু তিনি বারবার নিজেকে সর্ব ধর্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি এবং তার দলের কর্মীরা দাবি করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত ধর্মের অনুষ্ঠানে যান। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কিন্তু এত বড় আয়োজন যখন সনাতনীদের পক্ষ থেকে হয়েছে, যখন সেখানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যখন তিনি একজন হিন্দু, তখন কেন তিনি এই সুযোগটা ছেড়ে দিলেন? রাজনীতি অনেক পরের কথা। একজন হিন্দু সনাতনী হিসেবে কেন তিনি এত বড় মাপের কর্মযজ্ঞে শামিল হলেন না? সেই প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠছে। আর মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো সত্বেও তিনি যখন এলেন না, তখন তার বিরুদ্ধে কথা বলার মত বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। যেখানে প্রায় ৫ লক্ষ কন্ঠে ব্রিগেডে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে শামিল হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে তিনি যাননি। আর সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী না এসে তিনি যে হিন্দু ধর্মকে আরও বেশি করে অবজ্ঞা করলেন, সেই বিষয়টি তুলে ধরে সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন ব্রিগেডে ৫ লক্ষ গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে সামিল হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমত মাটিতে বসে গীতাপাঠে অংশ নেন তিনি। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি এই কর্মসূচিতে কেন এলেন না, তা নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আয়োজকদের তরফে তো মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। মুখ্যমন্ত্রী না এসে প্রমাণ করলেন, তিনি প্রকৃত হিন্দু নন। আয়োজকরা বলতে পারবে যে, কেন মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।” অর্থাৎ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর পরেও, যিনি ধর্ম যার যার উৎসব সবার বলেন, তিনি এত বড় মাপের একটি কর্মসূচি ব্রিগেডে হলো, অথচ সেখানে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও কেন এলেন না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলকে রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।