প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৫ লক্ষ গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে। কিন্তু সেখানে তিনি উপস্থিত হননি। আজ যখন তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন যে, সেখানে আপনি যাননি, তা নিয়ে বিভিন্ন মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন যে, সেটা বিজেপির অনুষ্ঠান। তিনি একটা অন্য আদর্শ, অন্য দল করেন, তিনি কি করে সেই অনুষ্ঠানে যাবেন। অর্থাৎ যে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের কোন কথা ছিল না, যেখানে কোনো রাজনৈতিক নেতাকে পর্যন্ত মঞ্চে দেখা যায়নি, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কি করে হিন্দু সনাতনীদের এত বড় পবিত্র অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলে আখ্যায়িত করলেন, তা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর এসবের মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বহুদিন পর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, বিশেষ করে হিন্দু সনাতনীরা গতকাল আবার উজ্জীবিত হয়েছেন। ব্রিগেডে যে ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের মুখোমুখি হয়েছিল গোটা রাজ্য, তাতে হিন্দু জাগরণ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু নন বলে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে আজ সেই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার পেছনে যে যুক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিলেন, যেভাবে এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলে দাবি করলেন তিনি, তাতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর সেই বিষয়ে তুলে ধরে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর গীতা পাঠের অনুষ্ঠানকে বিজেপির অনুষ্ঠান বলা প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “বিজেপির কে ছিলেন মঞ্চে? কেউ চেয়ারে বসেছিলেন, কেউ মাটিতে বসে ছিলেন। মঞ্চে কে ছিলেন? ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে যদি উনি বিজেপি বলেন, তাহলে বিজেপি। সাধ্বী ঋতম্বরাকে যদি বিজেপি বলেন, তাহলে বিজেপি। ওখানে যে সমস্ত সাধু, সন্তরা ছিলেন, তাদের সবাইকে যদি উনি বিজেপি বলেন, তাহলে বিজেপি। কারণ ভারতীয় সংস্কৃতি, সনাতনী সংস্কৃতিকে রক্ষা করার কাজটা তো বিজেপিই করার চেষ্টা করছে। উনি কোন চশমা পড়েছিলেন কালকে? কে খবর দিলেন ওনাকে? আমরা তো হিন্দু হিসেবে গিয়েছি। আমরা মঞ্চেও উঠিনি। বক্তৃতাও দিইনি। আসল কথা, উনি হিন্দু বিরোধী। গীতা শব্দটা উনি ঠিকমত উচ্চারণ পর্যন্ত করতে পারবেন না। গীতার কতগুলো অধ্যায় আছে, সেটা যদি উনি বলে দিতে পারেন, তাহলেই অনেক কিছু হয়ে যাবে। তাই উনি না গিয়ে ওই জায়গাটাকে পবিত্র রেখেছেন। এটা আমি একজন হিন্দু হিসেবে মনে করি।”