প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেও নিজের অবস্থানে অনড় থেকে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন হুমায়ুন কবীর। ইতিমধ্যেই তার এই মসজিদে নির্মাণকল্পে প্রচুর অর্থ সাহায্য জমা পড়েছে। যা গুনতে গুনতে হিমশিম খাচ্ছেন এই কাজে নিয়োগ থাকা লোকেরা। ইতিমধ্যেই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন যে, তার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষরা আছেন। মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রচুর অর্থ সাহায্য আসছে। ভবিষ্যতে তিনি নতুন দল গঠন করবেন এবং তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। আর সংখ্যালঘু ভোট যদি একত্রিত করে তৃণমূলকে চাপে ফেলে দিতে পারেন ভরতপুরের বিধায়ক, তাহলে আগামী দিনে রাজ্যের শাসক দল ক্ষমতায় আসবে কিনা, তা নিয়েই একটা বড় সংশয় তৈরি হয়েছে। আর এসবের মধ্যেই এবার তৃণমূলের ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যে রীতিমত গোঁদের ওপর বিষফোঁড়া তৈরি হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহলে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যেই ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করেও অস্বস্তি যাচ্ছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই সমস্ত কিছুই নাটক। হিন্দু ভোট পাওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ভরতপুরের বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু বাস্তবে তাদের সঙ্গে ঠিকই যোগাযোগ রয়েছে। যদিও বা হুমায়ুন কবীর সেই কথা অস্বীকার করে দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের পাশে দাঁড়ালেন ডেবরার তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। যেখানে বাবরি মসজিদ নিয়ে যে নির্মাণকল্পের চেষ্টা করছেন ভরতপুরের বিধায়ক, তার পাশে থাকার কথা জানিয়ে দিলেন ডেবরার বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই এক হুমায়ুন কবীর এমনিতেই অস্বস্তি তৈরি করেছে তৃণমূলের মধ্যে। আর এবার আরও এক হুমায়ুন কবীরের এই মন্তব্য যে রাজ্যের শাসক দলকে যথেষ্ট চাপে ফেলে দেবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিন ভরতপুরের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের মসজিদ নির্মাণের বিষয়টিতে তার পাশে দাঁড়ান ডেবরার তৃণমূলের বিধায় হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “আবেগ তৈরি হয়েছে। এটা আমি বুঝতে পারছি। আসলে আমি দেখেছি, যারা ধর্মপ্রাণ মুসলিম, তারা মসজিদের ব্যাপারে খুব স্পর্শকাতর। ৩৩ বছর আগে বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে, এটা কেউ ভোলেনি। যেই শুনেছে, বাবরি মসজিদের নাম, সেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমিও তার অংশ হতে চাই। আপনারা তৈরি করুন। আমিও তার অংশ হতে চাই।” শুধু তাই নয়, দুজনের নামই যেহেতু হুমায়ুন কবীর, তাই ভরতপুরের বিধায়ক যে মসজিদ নির্মাণ করছেন, সেখানে প্রচুর অর্থ জমা পড়লেও, অনেক ক্ষেত্রে সেই অর্থ তার কাছে জমা পড়ছে বলে জানিয়েছেন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুনবাবু। তাই যে সমস্ত টাকা মসজিদ নির্মাণের জন্য মানুষ তাকে দিচ্ছেন, তিনি সেই টাকা ভরতপুরের বিধায়ক, যিনি বাবরি মসজিদ তৈরি করছেন, তার কাছে পৌঁছে দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার ডেবরা বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল কংগ্রেস? কারণ যেভাবে এই বাবরি মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে ভরতপুরের বিধায়কের পাশে দাঁড়ানোর কথা ডেবরার বিধায়ক জানিয়ে দিলেন, তাতে কি দুই হুমায়ুনের বক্তব্যে রীতিমত চাপ বাড়বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।