প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিগত দুইদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে খবরের কাগজ, যেখানেই চোখ রাখা যাচ্ছে, সেখানে একটাই খবর সব থেকে বেশি সামনে আসছে, তা হলো গুলশান কলোনির ঘটনা। কিন্তু সকলের নজরে সেই খবর থাকার পরেও রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার মহানাগরিক তিনি নাকি জানতেনই না যে, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেছে। গতকাল থেকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার পর তিনি বললেন যে, না, এরকম কোনো কিছু তিনি জানেন না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো যে, সমস্ত কিছু আড়াল রাখার জন্যই কি ববি হাকিম এই ধরনের কথা বলেছেন? আর যদি তিনি সত্যিই না জেনে থাকেন, তাহলে তো তার মত ব্যর্থ মেয়র কোনোদিনই কলকাতা পৌরসভায় এর আগে ছিল না। আর বিরোধীদের সেই সমস্ত কটাক্ষের মাঝেই যখন গুলশান কলোনির মূল পান্ডা, তাদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি বলে দাবি উঠছে, ঠিক তখনই অবশেষে আজ সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতার মহানাগরিক। গতকাল পর্যন্ত তিনি না জানলেও, আজ অবশ্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ববি হাকিম পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিলেন।

প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত গুলশান কলোনীর ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মূল পান্ডা বলে যাকে দাবি করা হচ্ছে, সেই মিনি ফিরোজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক রিল বানিয়ে গেলেও তাকে ধরার মত সাহস দেখাতে পারছে না পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি সেই মিনি ফিরোজের মাথায় বড় কোনো হাত রয়েছে? আর এই সমস্ত প্রশ্নের মাঝেই গতকাল যে মেয়র ববি হাকিম বলেছিলেন, তিনি এই সমস্ত কিছু জানেন না। আজ তিনি অবশ্য অন্য কথা বলে বসলেন। কি বললেন কলকাতার মহানাগরিক?

আজ এই ব্যাপারে ববি হাকিমকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পুলিশকে আরও সক্রিয় হয়ে ক্রিমিনাল দের গ্রেপ্তার করতে হবে।” আর এখানেই তো ববি হাকিমের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন করছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য যে, পুলিশ তো তৃণমূল সরকারের অধীনে রয়েছে। তিনি তো রাজ্যের মেয়র, রাজ্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। ফলে তার তো নির্দেশ দেওয়ার কথা যে, অবিলম্বে পুলিশ কোনো রঙ না দেখে আসল যিনি এই ঘটনার পান্ডা, তাকে গ্রেফতার করুক। সেই নির্দেশ কি তিনি বা তার দলের সুপ্রিমো, বলা ভালো রাজ্যের যিনি পুলিশ মন্ত্রী, তার পক্ষ থেকে গিয়েছে? যদি গিয়েই থাকে, তাহলে পুলিশের ঘাড়ে কটা মাথা আছে যে, পুলিশ আসল পান্ডাকে গ্রেফতার করতে পারছে না? নাকি গতকাল যেমন এই ঘটনা নিয়ে ববি হাকিম কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই আজ পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার জন্য বাইরে এক কথা বলেও ভেতরে ভেতরে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার প্রবণতা চলছে? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।