প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শহর কলকাতায় যেভাবে সন্ত্রাসবাদীরা নিজেদের আঁতুড়ঘর বানিয়ে নিয়েছে, যেভাবে সেখানে সমাজ বিরোধীদের কার্যকলাপ চলছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এই কলকাতাই কি আমাদের গর্বের কলকাতা? কলকাতাকে লন্ডন বানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি তাকে মিনি পাকিস্তান বানিয়ে দিচ্ছেন? ইতিমধ্যে এই বিরোধীদের তরফে এই প্রশ্ন বিভিন্ন সময় তোলা হয়েছে। সম্প্রতি আবার উত্তপ্ত হয়েছে গুলশান কলোনি এলাকা। বারবার করে এই এলাকায় যেভাবে সন্ত্রাস বাদীদের দাপাদাপি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেভাবে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে ভর সন্ধ্যেবেলা গুলি চালানো এবং তারপর আবার মাঝরাতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, তাতে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন পুলিশ মূল অভিযুক্তদের ঢুকতে পারছে না? নাকি ধরতে চেয়েও ইচ্ছাকৃত ভাবে কারও বারণ থাকার জন্য তাকে ধরছে না? এই প্রশ্ন শুধু বিরোধীদের মধ্যে নয়। শাসক দলের অনেকের মধ্যেও ঘোরাফেরা করছে। আর তার মাঝেই যে গুলশান কলোনি বারবার করে আতঙ্কের অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবার সেই এলাকা নিয়েই এমন এক তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, তাতে রীতিমত আঁতকে উঠছে শহর কলকাতা।

বর্তমানে আবার গুলশান কলোনি নিয়ে চারিদিকে চর্চা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে সেখানে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তারপর মাঝরাতে আবার বোমা বিস্ফোরণ হয়। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে একটাই প্রশ্ন উঠছে যে, এখানে কি প্রশাসন বলে কিছু নেই? নাকি প্রশাসনের ওপরেও চলে অন্য কোনো মহলের মাতব্বরি? তবে এবার সেই গুলশান কলোনির জনসংখ্যা নিয়ে যে ভয়ংকর তথ্য সুকান্ত মজুমদার দিলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, যাদের ভোটার অধিকার আছে, তাদের বাইরেও যদি এত মানুষ একটি এলাকায় থাকে, তাহলে তো বড় কোনো অঘটন যদি ঘটে যায়, তাহলে তা সামাল দিতে কি সত্যিই সমর্থ হবে পুলিশ?

এদিন গুলশান কলোনি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওখানে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিমদের আখড়া। ওখানে ভোটার ৩ হাজার, কিন্তু জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ। কি ভয়ংকর বোমের ওপরে আমরা বসে আছি, বুঝতে পারছেন! আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বোমকে সযত্নে লালন এবং পালন করছে। ভগবান না করুক, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মত যদি কোনো ঘটনা হয়, তাহলে এই ব্যাপক জনসংখ্যা যদি বেরিয়ে আসে, তাহলে কলকাতা পুলিশ কি তাকে কন্ট্রোল করতে পারবে?”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুকান্ত মজুমদারের এই কথা কিন্তু অত্যন্ত ভাববার মত কথা। সত্যিই তো তাই। কলকাতার একটি এলাকায় এইভাবে ভোটার বাদ দিয়েও এত ব্যাপক অঙ্কের মানুষ এখানে বসে আছেন, ঘাঁটি গাড়ছেন। অথচ প্রশাসনের সেদিকে কোনো নজর নেই! কার্যত সমাজবিরোধীদের দখলে চলে যাচ্ছে গোটা এলাকা। কিন্তু তারপরেও প্রশাসন নীরব। স্বাভাবিকভাবেই যদি ভয়ংকর কোনো ঘটনা ঘটে যায় এবং এত জনসংখ্যার মানুষ বাইরে বেরিয়ে আসেন, তাহলে সাধারণ মানুষ, তারা তো বিপদের মুখে পড়ে যাবে। তখন প্রশাসনের সেই পরিস্থিতি সামলানোর মত ক্ষমতা আদৌ থাকবে তো? সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর এই প্রশ্নেই রীতিমত ঘুম উড়ছে কলকাতার নাগরিকদের।