প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যখনই নিজেদের রাজনৈতিক বুদ্ধিতে পেরে ওঠে না, তখনই নিজেদের দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের লেলিয়ে দেয় বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য। প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতেই তৃণমূলের এরকম কিছু লোক রয়েছেন, যারা বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্যই রয়েছেন। তবে একসময় বামেদেরও এইরকম দাপুটে নেতারা ছিলেন। কিন্তু কালের নিয়মে তারা এখন ক্যালেন্ডার হয়ে গিয়েছেন। তাই গোটা বীরভূম জুড়ে যে অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখরা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছেন, যারা প্রতিনিয়ত হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধীদের চাপে রাখার চেষ্টা করেন, ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন, তাদের দিনও যে শেষ হয়ে এসেছে, সেই গুন্ডামিরও যে খুব তাড়াতাড়ি সূর্যাস্ত হতে চলেছে, নানুরের মাটি থেকে সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গোটা রাজ্যবাসী জানেন যে, বীরভূম জেলা কিভাবে পরিচালিত হয়। সেখানে কিভাবে অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের মত নেতারা দাদাগিরি চালান, কিভাবে বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং কিভাবে কেউ বিরোধী কণ্ঠস্বর নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হেনস্থার ঘটনা ঘটে এই বীরভূম জেলায়। এমন পরিস্থিতি যে, এখন তৃণমূল নেতাদের চাপের কাছে বিরোধীরা সভা পর্যন্ত করতে পারে না। কিন্তু গতকাল সমস্ত রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে নানুরে একটি পদযাত্রা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই একটি সভা থেকে সেই অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিলেন, চিরকাল কাহারও সমান নাহি যায়।
গতকাল নানুরে বিজেপির একটি সভা থেকে দলীয় কর্মীদের অভয় দিয়ে সংঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, যারা প্রতিনিয়ত গুন্ডামি করছেন, তাদের গুন্ডামিও যে অতীত হয়ে যাওয়ার সময় চলে এসেছে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি যে এলাকা থেকে সাংসদ হয়েছি, বিধায়ক হয়েছি, মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়েছি। ওখানেও লক্ষণ শেঠ নামে, সুশান্ত ঘোষ নামে, তপন শুকুর নামে অনেক বড় বড় গুন্ডা ছিল। যারা কাজল শেখ, অনুব্রত মণ্ডলের গুন্ডামিতে ঠাকুরদা। তারা আজকে ক্যালেন্ডারে চলে গিয়েছে, ইতিহাস। একটু সাহস নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হন। একটু শক্তি সঞ্চয় করুন।”