প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরি করার একটা চক্রান্ত চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করে আসছেন বিজেপি নেতারা। এমনকি প্রত্যেকটি সভা থেকে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল সরকার যদি আবার ক্ষমতায় ফেরে, তাহলে বাঙালি হিন্দু সনাতনীদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না বলে দাবি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল এই বাংলায় দেখা গিয়েছে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস হতে। সকলেই একটাই প্রশ্ন করছেন যে, কেন বাবরের নামে মসজিদ হবে? যে বাবরের জন্য বারবার আক্রমণ নেমে এসেছে ভারতবর্ষের ওপরে, তার জন্য মসজিদ করে কি হুমায়ুন কবীর কোনো বার্তা দিতে চাইছেন? আবার সেখান থেকে তিনি বলেছেন যে, ৯০ টি আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থীদের জেতানোর কথা। যা পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের ভৌগোলিক মানচিত্রের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপদজনক বলেই মনে করছেন একাংশ। আর তার মধ্যেই আজ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ। যেখানে হিন্দু জাগরণ দেখে আরও উজ্জীবিত হয়ে পড়েছেন সনাতনীরা। বাংলা ও বাঙালি হিন্দুদের বাঁচানোর জন্য যে লড়াইটা আজ ব্রিগেডের মাঠে হচ্ছে, সেখানে উপস্থিত হয়ে গতকাল যেভাবে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস থেকে হুমায়ুন কবীর বড় বড় কথা বলেছেন, তাতে তাকেও কিছুটা খোঁচা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ যে হিন্দুদের জন্যই তৈরি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই ব্রিগেডে শুরু হয়ে গিয়েছে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের মূল অনুষ্ঠান। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই কর্মসূচিতে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও পৌঁছে গিয়েছিল নিমন্ত্রণ। কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত আসেননি। তবে সনাতনী ধর্ম, সংস্কৃতি এবং রীতিনীতিকে বজায় রেখে আজ এই মহতী কর্মসূচিতে উপস্থিত হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। শুধু উপস্থিত হওয়াই নয়, সকলের সঙ্গে সুরে সুর মিলিয়ে গীতা পাঠে অংশ নেওয়ার আগে যেভাবে বাংলার পরিবেশকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, যেভাবে বাংলায় হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও গতকালের বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের ঘটনাকে টেনে এনে হুমায়ুন কবীরকে খোঁচা দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।

এদিন সাত সকালে ব্রিগেডের গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠান সকল হিন্দুদের একত্রিত হওয়ার একটি অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাংলার যা বর্তমান পরিস্থিতি, এই পরিস্থিতিতে হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতি যদি রক্ষা করতে হয়, যার জন্য পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়েছে। হিন্দুদের জন্যই তো পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হয়েছিল। তা না হলে তো পশ্চিমবঙ্গ তৈরি হওয়ার কোনো দরকার ছিল না। আজকে কিছু লোক বলছে ৯০ টি সিট আমাদের। থাকতে সবাই পারে। কোনো অসুবিধে নেই। কিন্তু ভাগ তো হয়েছিল হিন্দুদের জন্য। কাজেই হিন্দুরাই যদি এখানে পরবাসী হয়ে যায়, তাহলে তো চিন্তার বিষয়।”