প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- উত্তরবঙ্গে যে ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ কার্যে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু সেখানে তাদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে, তা রীতিমত রাজ্যে যে আইনের শাসন নেই, সেই ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করছে। এখনও পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তবে গতকালই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। তৃণমূল বা তাদের আস্রিত দুষ্কৃতীরা হয়ত ভেবেছিল যে, হামলা করে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কণ্ঠরোধ করা যাবে, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি বা সামাজিক কর্মসূচিতে বাধাদান করা যাবে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরদিনই অর্থাৎ আজ সাত সকালেই মানুষের জন্য ফের বড় পদক্ষেপ নিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

গতকালই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আর আজ সাত সকালেই ফের রাজপথে দেখা গেল তাকে। যেখানে বন্যা বিপর্যয়ে যেভাবে উত্তরবঙ্গ বিধ্বস্ত, তার পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ত্রাণ কার্যের জন্য অর্থ সংগ্রহে বেরিয়ে পড়লেন তিনি। অর্থাৎ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তার চেষ্টার যে কোনো খামতি থাকবে না, তিনি যে তার কাজ করে যাবেন, তা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দিনই বিজেপি বিধায়কের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ভেবে নিয়েছে যে, যেভাবেই হোক, বিজেপি নেতা কর্মীদের কর্মসূচিকে আটকে দিতে হবে। আর কোনোভাবেই তারা যখন সেই কর্মসূচিকে আটকে দিতে পারছে না, যখন বিজেপি রাস্তায় নামছে, মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তখন তাদের ওপর হামলা করার রাস্তাকেই বেছে নিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। তবে এর ফল যে উল্টো হচ্ছে, তা হয়ত তৃণমূল স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল থেকে শঙ্কর ঘোষ ছাড়া পাওয়ার পরেই তিনি বড় পদক্ষেপ নিয়ে বসলেন। যা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলো যে, হামলা করে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের আটকানো যাবে না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।