প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ঘটা করে তাদের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি করেছে। দলের কেউ যদি বাইরে কোনো মন্তব্য করেন, তাহলে তাদের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়। এমনকি ভেতরে কথা না বলে কেন বাইরে কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়েও অনেক মুখপাত্ররা বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন। তবে তৃণমূলের ভেতরে যারা কথা বলতে চান, যারা নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে চান, তারা কোথায় জানাবেন, আদৌ কি সেরকম কোনো জায়গা রয়েছে, এই প্রশ্ন তৃণমূলের মধ্যে থেকেই অনেকে করেছেন। শুধুমাত্র মুখেই মুখপাত্ররা বড় বড় জ্ঞান দেন। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূলের ভেতরের বলার মত কোনো জায়গা নেই বলেই দাবি করে বিরোধীরা। আর বর্তমানে হুমায়ুন কবীরের মত তৃণমূল বিধায়ক যখন ক্রমাগত দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন, তখন দলের অনেকে বলছেন যে, এইভাবে বাইরে বলা উচিত নয়। আর সেই ব্যাপারেই এবার পাল্টা তৃণমূলের সেই সমস্ত নেতা থেকে শুরু করে মুখপাত্রদের প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল তাদের ঘটা করে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি করলেও বাস্তবে এটা “গরুর গাড়ি হেডলাইট” বলেই কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিরোধীদের। এমনকি যারা অতীতে তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের মুখেই শোনা যায় যে, তৃণমূলে বলার মত জায়গা নেই। যদি কেউ বলার মত জায়গা খুঁজে না পেয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের কথা বলেন, তখন তৃণমূল নেতাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। তখন তারা বলেন যে, দলের ভেতরে কেন বলা হচ্ছে না? কিন্তু দলের ভেতরে বলার জায়গাটা কোথায়! এবার সেই ব্যাপারেই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি একাধিকবার তার মনের কথা জানালেও, কেন পদক্ষেপ হয়নি, তাহলে দলের ভেতরের কোন জায়গায় তাকে জানাতে হবে, তা নিয়ে যারা তার মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন, তাদেরকেই পাল্টা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। আর সেখানেই তিনি বলেন, “এদের দলের মুখপাত্ররা না জেনে না শুনে শুধুমাত্র বলে, হুমায়ুন কবীর কেন বাইরে কথা বলছে? ভেতরে বলতে হবে। আরে কোথায় ভেতরে বলতে হবে! তোদের ভেতরটা কোথায়? তোদের ভেতরের মালিকটা কে? মমতা ব্যানার্জিকে চারবার জানিয়েছি, অভিষেক ব্যানার্জিকেও চারবার জানিয়েছি। বক্সীদাকেও জানিয়েছি। তবে বক্সীদাকে শুধুমাত্র রাজ্যের সভাপতি বলা হয়। কিন্তু তার কোনো কাজ আছে বা ভূমিকা আছে বলে তো কোনোদিন জানতেও পারি না, বুঝতেও পারি না।”