প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতবর্ষের বুকে নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবেই পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বারবার সেখানে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন গাফিলতির খবর সামনে আসছে। এর আগেও এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। আর এবার ফের তৃতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের আরও এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অভিভাবক অভিভাবিকা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পড়ুয়ারা সকলেই এই ঘটনা নিয়ে চিন্তিত। আর তাদের পাশাপাশি যাদবপুরের মত নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রবল চিন্তা প্রকাশ করে বেশ কিছু প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

যাদবপুরে যেভাবে এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। ঝিলের পাড়ে কিভাবে সেই ছাত্রী পড়ে গেলেন, কেন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে এইভাবে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গেল, এই সমস্ত প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। আর তার মধ্যেই যাদবপুরের মত বিশ্ববিদ্যালয় যে পরিস্থিতি একের পরের তৈরি হচ্ছে, তাতে তিনিও যে গোটা বিষয় নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত, তা জানিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেই ব্যাপারেও পরামর্শ দিলেন তিনি।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি এই ঘটনায় গভীরভাবে চিন্তিত। ছাত্র বা ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তাদের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা রাজ্য সরকার সেই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেনি। এক্ষেত্রে ভেতরে যে জলাশয়গুলো আছে, সেগুলো ফেনসিং করে দেওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, যাতে রাত্রিবেলা সেখানে প্রবেশ না হয়, তার জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। আর যদিও কোনো অনুষ্ঠান হয়হ তাহলে অনুমতি নিয়ে তা করা উচিত। আর এটা পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয়, ভারতবর্ষের একটি নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই এখানে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমাদের দেশের নাম খারাপ হবে।”