প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট-
এই রাজ্যে এমনিতেই নারী নিরাপত্তা নেই বলেই দাবি করে বিরোধীরা। আরজিকর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তা যে প্রশ্নের মুখে, সেই ব্যাপারে বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেতরেও যে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। যেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে এক ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে শহর কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্যজুড়ে। নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেই যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে কোন ভরসা নিয়ে অভিভাবকরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের পাঠাবেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর এর মাঝেই এবার গোটা বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, গতকাল রাতেই খবর আসে যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে ঝিলের পাড় থেকে এক ছাত্রীর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর তারপরেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। আর এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ক্যাম্পাসের মধ্যে কি করে এক ছাত্রী ঝিলে পড়ে গেলেন? কেন নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে ছিল না? আর সেই ঘটনা নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একদিকে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা, আর এঅদিকে শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ঠিক কি বললেন তিনি?

এদিন যাদবপুরের ছাত্রী রহস্যমৃত্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে গিয়েছে। অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটছে। মেয়েদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আর এটা গ্রামগঞ্জে যেমন হচ্ছে, ঠিক তেমনই কলকাতার নামি বিশ্ববিদ্যালয়েও হচ্ছে। এটা অত্যন্ত চিন্তাজনক। স্কুলগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক নেই। এখানে কেউ ভর্তি হতে চাইছে না। অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। সেখানে পড়ার পর ওখানেই চাকরি করছেন। এখানে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। মহিলাদের সুরক্ষা নেই। সার্বিকভাবে একটা ডামাডোল চলছে।”