প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে প্রায় নয় বছর পর আদালতের নির্দেশে হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির সেই পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। তবে এবার সেই পরীক্ষা নিয়েও উঠলো অস্বচ্ছতার অভিযোগ। যার ফলে যারা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যারা একসময় যোগ্য ছিলেন, আবার নতুন করে তাদের এই সরকারের দুর্নীতির কারণে পরীক্ষায় বসতে হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকেই বড় দাবি করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য যে, এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে। মোবাইল ডিভাইস নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা গিয়েছে। তাই এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের যে প্যানেল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা বাতিল হয়েছে। যার ফলে আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে আবার অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। যার ফলে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে, ২০১৬ এর প্যানেলে বেশ কিছু দুর্নীতি হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশে আবার এসএসসিকে পরীক্ষা নিতেও হয়েছে। যেখানে অনেক যোগ্য প্রার্থীরাও পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে যোগ্যদের মধ্যে এমনিতেই একটা প্রশ্ন ছিল যে, কিছু ব্যক্তির অযোগ্যতার কারণে, কিছু মানুষের দুর্নীতির কারণে কেন আবার তাদের পরীক্ষায় বসতে হবে? তবে শেষ পর্যন্ত তারা আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার সেই যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তি, যারা আবার নতুন করে এসএসসি পরীক্ষায় বসে ছিলেন, তাদের পক্ষ থেকেই পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দেওয়া হলো।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তি সুমন বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন, “নদীয়ার বেতাই হাইস্কুলে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষায় বসেছেন বেশ কিছু ব্যক্তি। এছাড়াও জঙ্গিপুর থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় গন টোকাটুকি হয়েছে এবং মোবাইল ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। তাই এই বিষয়টা যদি সত্যি হয়, তাহলে এসএসসির চেয়ারম্যানের বিবৃতি দাবি করছি। আর গোটা বিষয়ের মধ্যে যদি সত্যতা থাকে, তাহলে অবিলম্বে আমরা এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।” স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, সত্যিই যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে এত বছর পর রাজ্যে যে পরীক্ষা হলো, সেটা কি আবার বাতিল হয়ে যাবে? আবার কি এসএসসির অযোগ্যতার জন্য হতাশার মুখে পড়তে হবে প্রচুর পরীক্ষার্থীদের? তবে যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা আজ যে দাবি করলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি চেয়ারম্যান কি বিবৃতি দেন এবং তার ফলে যে পরীক্ষা হয়েছে, তার ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।