প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় অবশেষে প্রায় সাড়ে তিন বছরের মত সময় জেলে থাকার পর গতকাল জেল থেকে মুক্ত হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তারপর বাংলার একটি অংশের সংবাদমাধ্যম তাকে নিয়ে যে নাচানাচি শুরু করেছে, তা দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছে বাংলার মানুষ। এত বড় প্রতারণা করা একজন মানুষ তাকে নিয়ে কেন এত বেশি করে খবর করা হচ্ছে, তা কেউ ভেবে পাচ্ছেন না। অনেকে আবার ক্ষিপ্ত হয়ে বলছেন যে, এত বড় অপরাধ করার পরেও কেন ছাড়া পেয়ে গেলেন পার্থ চ্যাটার্জী? চিরকাল তার জেলেই থাকা উচিত ছিল। অনেকে আবার কৌতুক করে বলছেন, জেলেই যদি তিনি থাকতেন, তাহলে তো তার চেহারার এই অবস্থা হত না। তার চেহারা তো দিব্যি আছে। সত্যিই কি তিনি জেলে ছিলেন? নাকি গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালেই দিন কাটাচ্ছিলেন? আর মানুষের মধ্যে ওঠা সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীও বুঝিয়ে দিলেন যে, হাসপাতালে থেকেই দিন কাটাচ্ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শুধু তাই নয়, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাকে ফের জেল খাটানোর হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল থেকেই পার্থ চ্যাটার্জিকে নিয়ে বাংলার একটি অংশের সংবাদমাধ্যম রীতিমত একের পর এক খবর করতে শুরু করেছেন। আজকেও দিনভর সেই খবর দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সাধারণ মানুষ। সকলের একটাই আফসোস, চিরকাল জেলে থাকা উচিত ছিল এই মানুষটির। যে পরিমাণ দুর্নীতি তিনি করেছেন, তাতে তিনি বাইরে বেরোলে বাংলার শিক্ষিত যুবকরা আবার প্রতারিত হতে পারেন। শুধু তিনি কেন, এর পেছনে যে সমস্ত মানুষরা রয়েছে, তাদেরও জেলে ঢোকানো উচিত বলে দাবি উঠছে জনতার পক্ষ থেকে। ফলে পার্থ চ্যাটার্জি ছাড়া পেয়ে যাওয়ার পর সকলেই একটু হতাশ। তবে জনতাকে আশ্বস্ত করে বিজেপি ক্ষমতায় এলে আবার এই কেস রি-ওপেন করে পার্থ চ্যাটার্জিকে জেলে ঢোকানো হবে বলে হুশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে পার্থ চ্যাটার্জিকে নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপিকে আনুন। এই রাজ্য পুলিশেও অনেক দক্ষ অফিসার আছে। তাদেরকে দিয়ে এই কেস রি ওপেন করিয়ে আমরা এদেরকে জেলে রাখব। পার্থ তো জেলে ছিল না। পার্থ তো বাইপাসের পাশে রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালে ছিল। তার বিল কে পেমেন্ট করেছে? চেহারা দেখেছেন আপনি! ওর তো ১৭০ কেজি হয়ে গিয়েছে।”