প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
হাতে আর কয়েকটি দিন বাকি। তারপরেই নতুন দল গঠন করতে চলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ইতিমধ্যেই বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করে তিনি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। বারবার করে তিনি দাবি করছেন, তৃণমূলকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়া এবং বিজেপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, তার জন্যই তিনি নতুন দল গঠন করে লড়াই করবেন। এমনকি সংখ্যালঘুদের বেশিরভাগ আসনে জয়লাভ করিয়ে তিনি রাজ্য বিধানসভায় বিরোধীদলের আসন দখল করে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠবেন বলেও প্রতিনিয়ত মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের এই সাসপেন্ডেড বিধায়ককে। আর পরিস্থিতিতে রাজ্যে যতই তৃণমূল ক্ষমতায় থাকুক, যতই তাদের জনপ্রিয়তা থাকুক না কেন, আগামী ২২ তারিখ নতুন দল গঠনের আগেই বড় হুংকার দিয়ে বসলেন হুমায়ুন কবীর।
ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরের যে সমস্ত হুংকার শোনা যাচ্ছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল দাবি করছে, হুমায়ুন কবীর বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। আবার বিজেপি পাল্টা দাবি করছে, তৃণমূল লোক দেখানো সাসপেন্ড করলেও, তলায় তলায় তাদের সঙ্গেই গোপন সেটিং নেই তো হুমায়ুন কবীরের? তবে হুমায়ুন বাবু অবশ্য দাবি করছেন, রাজ্যের জেলায় জেলায় তিনি সংখ্যালঘুদের প্রার্থী করবেন। এমনকি নতুন দল গঠন করার পর মিম থেকে শুরু করে আইএসএফ এবং বাম, কংগ্রেস তার দলের সঙ্গে জোট করতে চাইলেও, তার কোনো আপত্তি নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যালঘুদের একটা বিরাট মাপের সমর্থন যে তিনি পেতে চাইছেন এবং তৃণমূলকে যে চাপে রাখতে চাইছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সকলের কাছে। আর এই পরিস্থিতিতে ২২ তারিখে তিনি এত লোকের জনসমাগম করবেন, যা অতীতে কোনোদিন দেখতে পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর।
এদিন নতুন দল ঘোষণার আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যেখানে তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় রেকর্ড সমাবেশ হবে। আজ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো নেতা এত সংখ্যক লোক করতে পারেনি। আপনারা দেখে নেবেন। ২২ তারিখের অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। বেলডাঙা থানার পুলিশ অনুমতি দিয়েছে, মহকুমা শাসকেরও অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। এত পরিমান লোক হবে মুর্শিদাবাদ জেলায় যে, স্বাধীনতার পর যে কোনো রাজনৈতিক দলের যে সমস্ত সভা সমিতি হয়েছে, তার সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করবে।”