প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। তবে এই এসআইআরের মধ্যে দিয়ে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে, এটা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বিজেপি চাইছে সমস্ত হিন্দুদের নাম রাখতে। অনেক হিন্দুরা তো ২০০২ সালের পরেও পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন শরণার্থী হিসেবে। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে? তারা কি আদৌ এখানকার ভোটার হতে পারবেন? এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কিভাবে তাদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেবে, এইরকম প্রশ্ন অনেক হিন্দু শরণার্থীদের মধ্যে রয়েছে। তবে তাদের বিষয়টা মাথায় রেখে আজ নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কলকাতায় সাক্ষাৎ করার পরেই বড় দাবি করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই এসআইআর শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, সীমান্তে প্রচুর বাংলাদেশীদের ভিড়, যারা ওপারে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আর এর ফলেই বিরোধীরা দাবি করছেন যে, এতদিন এই রাজ্যে যে অনুপ্রবেশকারীতে ভর্তি ছিল, তা তো এই চিত্রের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে হিন্দু শরণার্থী হিসেবে যারা এপারে এসেছেন, এখন তাদের নিয়েই সব থেকে বড় সংশয় তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে। বিজেপি তো বলছে, হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু তারা সেই নাগরিকত্বের ফর্ম ফিলাপ করার পর আদৌ কি তাদের নাম ভোটার তালিকায় উঠবে? এই গ্যারান্টি কি বিজেপি নেতারা দিতে পারবেন? বিভিন্ন মহলে যখন এই বিষয় নিয়ে চর্চা হচ্ছে, তখন সেই হিন্দু শরণার্থী হিসেবে যারা এপারে এসেছেন, তাদের নাম যাতে ২০২৬ এর ভোটার তালিকায় এসআইআর হওয়ার পরে থাকে, সেই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। আর সেখানেই বেশ কিছু তথ্য এবং অভিযোগের কথা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি হিন্দু শরণার্থীদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি কি দাবি জানিয়েছেন, সেই কথাও সংবাদমাধ্যমের কাছে ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “আমরা পরিষ্কার বলেছি, এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম কাটতে হবে। আর এর সাথে সাথে হিন্দু শরণার্থী, এদের নাম তোলার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যারা সিটিজেনশিপে আবেদন করবেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, তারা কার সঙ্গে টেকআপ করবে। কোর্টে টেকআপ করবেন, না ভারত সরকারের সঙ্গে টেকআপ করবেন, না অন্য কারও সঙ্গে করবেন, সেটা আপনাদের দায়িত্ব। কিন্তু হিন্দু শরণার্থীদের নাম তুলতে হবে।” অর্থাৎ যে সমস্ত হিন্দু শরণার্থীরা যাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম নেই, যারা একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন, তাদের জন্য যে আজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে তাদের নাম তোলার ব্যাপারে দাবি জানিয়ে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, সেই কথা তিনি বাইরে এসেই প্রকাশ করে দিলেন। যার ফলে এখন শুভেন্দু অধিকারী এই দাবি জানানোর পর নির্বাচন কমিশন হিন্দু শরণার্থীদের নাম ভোটার তালিকায় তোলার ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।