প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে আদালতের নির্দেশে আবার নতুন করে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। অনেকে আশা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অনেক নয়া পরীক্ষার্থীরা পুরো নম্বর পেলেও তারা ইন্টারভিউতে ডাক পাননি। এমনকি যারা যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন, তারাও অনেকে ইন্টারভিউতে ডাক পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে আবার দুর্নীতির একটা খবর ছড়াতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি এই পরীক্ষা নেওয়ার নামে প্রহসন করলো রাজ্য এবং এসএসসি? শুধুমাত্র লোক দেখানো পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষিতদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললো তারা? আর এসবের মধ্যেই সেই নিয়োগ দুর্নীতির আরও বড় পর্দাফাঁস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসএসসি পরীক্ষা হলেও, এই পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছা যে রাজ্য সরকারের ছিল না, তারা যে শুধুমাত্র আদালতের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী. পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন যে, পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়েছে। কারণ বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন তিনি এই রাজ্যে চাকরি দেবেন না। কারণ তিনি খুব ভালো মতই বুঝে গিয়েছেন, ভাতা এবং ভর্তুকি দিয়ে ভোট পাওয়া যায়। সেই কারণে ভোটের আগে কিছু ভাতার টাকা বাড়িয়ে তিনি শিক্ষিত যুবকদের মেরুদন্ড ধ্বংস করে দিতে চাইছেন। যার ফলে বেকার যুবক, যুবতীদের সঙ্গে আবারও একটা প্রহসন হয়ে গেল বলেই অভিযোগ উঠছে এই রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে। তবে একদিকে যখন যোগ্যরা চাকরি পাচ্ছে না, যখন মেধাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই জেলে থাকা সত্ত্বেও ফোনের মাধ্যমে টাকা তুলছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা? সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি গোটা ঘটনা নিয়ে বড় দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “অনেকে পুরো নম্বর পেয়েও ভাইভাতে ডাক পাননি। আর জীবন সাহা, তিনি জেলে থেকেও ফোনে পা দুলিয়ে দুলিয়ে টাকা নিচ্ছেন। আমি তো একটা অ্যাকাউন্ট দিয়ে দিয়েছি, যেখানে ৫০ হাজার টাকার ট্রান্সফার হয়েছে। একটা অডিও রেকর্ড দিয়েছি, যেখানে সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে কথা বলছে। আমি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছি আমার সোশ্যাল মিডিয়ায়। জেলখানা থেকে যদি এই ব্রোকাররা এখনও কাজ করে, জেলখানা কার? মমতা ব্যানার্জির‌।” অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতির জন্য গ্রেপ্তার হলেও জেলে গিয়েও বহাল তবিয়তে টাকা নেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক। এসএসসির পরীক্ষার মাঝে ফের দুর্নীতির গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই তথ্যপ্রমাণ সহকারে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।