প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় তাদের জবাব দেন। আর শুভেন্দুবাবুর সেই বক্তব্যও রীতিমতো আরও গাত্রদাহের কারণ হয়ে ওঠে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের কাছে। গতকাল তিনি উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই তৃণমূলের সাংসদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে মন্তব্য করলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সকলেই বলছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী ঘুরিয়ে লজ্জায় ফেলে দিলেন তৃণমূলের এই সাংসদকেই।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসকের সঙ্গে বিরোধীদের রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে, ভবানীপুরেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে দেখাবেন। আর তার পাল্টা শ্রীরামপুরে শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই দাঁড়াবেন, সেখানেই তাকে হারানো হবে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার সেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই পাল্টা কল্যাণবাবুকে কড়া ভাষায় খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কল্যান ব্যানার্জি যখন বলেছে, তখন জলে ছিলেন না স্থলে ছিলেন? উনি তো বেশিরভাগ সময় জলে থাকেন। এইসব লোকের কথার উত্তর দেওয়ার দরকার নেই।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের কোনো নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের কোনো কথার প্রতিক্রিয়া দেন না। কোনো নেতা সম্পর্কে তাকে বলতে গেলেই তিনি বুঝিয়ে দেন যে, গ্রুপ ডি কর্মচারীদের কথার তিনি উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। তবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করলেন, তাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়লো শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।