প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টি হয় শহর কলকাতা জুড়ে। ইতিমধ্যেই গোটা কলকাতা জলের তলায় চলে গিয়েছে। পুজোর মুখে এই ধরনের বিপর্যয় রীতিমত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পূজা উদ্যোক্তাদের কাছে। যে কলকাতাকে এত উন্নয়নে ভরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার বলে দাবি করেন, সেই কলকাতার এই বেহাল দশা কেন? কেন নিকাশি ব্যবস্থার এই করুণ পরিণতি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে সাত জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পৌরসভা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ দপ্তরকে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই পুজোর মুখে কলকাতায় এই দুর্যোগ সাধারণ মানুষের মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে সামনে আসছে মর্মান্তিক খবর। গোটা কলকাতা জুড়ে জমা জলে ইতিমধ্যেই সাত জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর এই খবর সামনে আসার পরেই পৌরসভার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তেমনই প্রশ্ন উঠছে বিদ্যুৎ দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। কেন দুর্যোগ আগেভাগে হবে, এই খবর থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ কর্মীরা সচেতন ছিলেন না? কেন এইভাবে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষের প্রাণ হারাতে হবে! উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও পোস্ট করে সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে তিনি লেখেন, “জলমগ্ন শহরে মৃত্যুর মিছিল!! মৃতদেহ ভাসছে জমা জলে। সকাল সকাল এই দৃশ্য দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এই দুর্দশার জন্য দায় কার? এক রাতের বৃষ্টিতেই কলকাতা, সল্টলেক জলমগ্ন! আজকের দিনে যখন প্রযুক্তি এত উন্নত যে, কখন বৃষ্টি হবে, কত পরিমানে হবে, তার আভাস আগেই পাওয়া যায়, তখন কলকাতা ও বিধাননগর পুরনিগমের মেয়রদের অদক্ষতা আর উদাসীনতার ফল শহরবাসীকে ভোগ করতে হয়।” পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “বিদ্যুৎ দপ্তরের দোষ তো একেবারে মারাত্মক। আধিকারিকরা কোথায়? খোলা তারের এই বিপদের ব্যাপারে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? এখনও অবধি সাত জন নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছেন। এটা আপনাদের ব্যর্থতা নয়, এটা অপরাধ। দোষ কার, তা নির্ধারণ করে উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত। বছরের পর বছর ধরে এই অব্যবস্থাপনায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। আর কতদিন এই অরাজকতা চলবে?”