প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যে সর্বাত্মকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার, তা ইতিমধ্যেই একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। আর সম্প্রতি কাকদ্বীপের একটি স্কুলে যেভাবে প্রধান শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা দিতে দেখা গিয়েছে পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা এক তৃণমূল নেতাকে, সেই ঘটনায় রীতিমত সমালোচনার ঝড় তৈরি হয়েছে শিক্ষা মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কবে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে! নাকি তৃণমূল নেতা বলে এত বড় জঘন্য ঘটনা ঘটানোর পরেও তাকে ছাড় দিয়ে রেখে দেবে প্রশাসন? ইতিমধ্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। আর এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষককে ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, গতকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে কাকদ্বীপের একটি স্কুলের ঘটনা নিয়ে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজে যে প্রধান শিক্ষককে স্কুলের ভেতরে ঘাড় ধাক্কা দিচ্ছেন পরিচালক সমিতির সভাপতি। যিনি আবার পঞ্চায়েতের সদস্য এবং একজন তৃণমূল নেতা। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই কেন এখনও পর্যন্ত প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেটাই প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে সকলের কাছে। একজন শিক্ষককে যদি স্কুলের মধ্যেই এইভাবে কোনো তৃণমূল নেতার কাছে ঘাড় ধাক্কা খেতে হয়, তাহলে কত নীচে নেমে যাচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে? এরপরে কি শিক্ষক সমাজ আর তার সম্মান ফিরে পাবে, সেই প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট জনেরা। আর এবার এই রাজ্যের সরকার পশ্চিমবঙ্গকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে জীবিত রাখতে চায় না বলেই মন্তব্য করলেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন বালুরঘাটে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে কাকদ্বীপের স্কুলে প্রধান শিক্ষকের হেনস্থার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কাকদ্বীপের এই ঘটনা, আমরা সকালবেলাতেই খবর পেয়েছি। যেভাবে প্রধান শিক্ষককে পরিচালন সমিতির একজন তৃণমূল নেতা ঘাড় ধাক্কা দিতে দিতে নিয়ে গিয়েছেন, সেটা প্রমাণ করছে যে, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার কি অবস্থা। সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা ম্যাডাম হোক বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, তাকেও যেভাবে অপমান করা হচ্ছে, এই অপমান প্রমাণ করে দেয় যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আর জীবিত রাখতে চায় না।”