প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
কিছুদিন আগেই অর্থাৎ লক্ষ্মী পুজোর দিন উত্তরবঙ্গের যে বিপর্যয় হয়েছিল, সেখানে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। তবে এই রাজ্যে যে আইনের শাসন নেই, তা সেদিন আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে যায়। যেখানে ত্রাণ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদকে। আর তারপর থেকেই আশঙ্কা জনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন খগেন মুর্মু। তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সকলেই চিন্তিত। তবে তাকে নিয়ে কিছুটা হলে উদ্বেগ রয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে।
বলা বাহুল্য, লক্ষ্মী পূজার দিন উত্তরবঙ্গের বন্যা বিপর্যয় ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আর সেখানেই তাকে হামলার মুখে পড়তে হয়। পরবর্তীতে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এবং একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষরা রয়েছেন। ইতিমধ্যেই খগেন মুর্মুর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি তাকে হাসপাতালে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যপাল। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও, আক্রান্ত সেই সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে এসে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছে বিজেপি। তবে এসবের মাঝেই খগেন মুর্মু কেমন আছেন, কবে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তার দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তার অনুগামীরা। আর শেষ মুহূর্তের পাওয়া খবরে যা জানা গেল, তাতে বিজেপি সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সকলের মধ্যেই।
জানা গিয়েছে, আগের থেকে শারীরিক পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। তবে যেভাবে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, যেভাবে তার ওপর হামলা করা হয়েছে, তাতে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। এক্ষেত্রে তার চোখের নীচে অর্থাৎ মুখের বাঁ দিকে, যেখানে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেই জায়গা এখনও সেরে ওঠেনি। যেভাবে তার রক্তাক্ত মুখের দৃশ্য সামনে এসেছিল তাদেরকে অনেকেই শিউরে উঠেছিলেন। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে বিজেপি সাংসদকে নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। এখনই তার অস্ত্রোপচার হবে কিনা, সেই সম্পর্কেও কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই আর কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে উত্তর মালদহের এই বিজেপির সাংসদকে, সেদিকেই তাকিয়ে তার অনুগামীরা।