প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের সর্বভারতীয় দল বলে দাবি করে। যদিও বা তারা সেই সর্বভারতীয় তকমা খুইয়ে ফেলেছে বলেই দাবি করে বিরোধীরা। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল দাবি করে যে, তারা নাকি গোটা ভারতবর্ষের বুকে একমাত্র বিজেপি বিরোধী শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। তবে মুখে যাদের এত বড় বড় কথা, তারা বাস্তবে কেন সর্বভারতীয় দল হওয়ার পরেও বিহারের মত রাজ্যে নির্বাচনে লড়াই করছে না! কেন সেখানে তৃণমূলের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? এবার সেই প্রশ্ন তুলে ধরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় দল নিয়ে যে বড়াই, তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে এখন এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলনে নেমেছে তৃনমূল কংগ্রেস। তবে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এত বেশি করে ক্ষমতা দখল করার স্বপ্ন দেখছে, সেখানে কেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে পর্যন্ত যাচ্ছে না? এই প্রশ্ন এবার তুলে দিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দলকে সবথেকে বড় বিজেপি বিরোধী দল বলে দাবি করে, যে তৃণমূলের নেতারা লালু প্রসাদ যাদব এবং তার ছেলের সঙ্গে এত বেশি সখ্যতা স্থাপন করেছে, যেখানে কলকাতায় আসলেই তেজস্বী যাদব তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তারা কেন বিহারের নির্বাচনে সেই লালু প্রসাদ যাদবের পুত্রকে সাথ দেওয়ার জন্য প্রচারে পর্যন্ত গেল না? ইতিমধ্যেই এই সমস্ত প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে। আর সেই কথা তুলে ধরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় দল নিয়ে যে সমস্ত দাবি তার দলের নেতারা করছেন, তাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর সেখানেই তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লির প্রচারে গেল। বিহারের প্রচারটায় গেল না কেন? এত ভালো সম্পর্ক। মুখ্যমন্ত্রী যখন ধর্মতলায় রাস্তায় বসে অবস্থান করছিলেন, তখন পর্যন্ত তেজস্বী যাদব সেখানে এসেছিলেন। আমাদের এখানকার সরকারের বা তার দলের যিনি উত্তরাধিকারী তিনি তো লালু প্রসাদ যাদবকে প্রণাম করে তার আশীর্বাদ পর্যন্ত নিয়ে নিলেন। কিন্তু এখন বিহারে এত বড় একটা নির্বাচন হচ্ছে, অথচ তৃণমূল কংগ্রেস নেই! যারা বিজেপিকে কথায় কথায় সরিয়ে দিচ্ছে, সরকার ফেলে দেবে বলছে, দিল্লিতে গিয়ে, এত ক্ষমতাশালী দল বিহারের নির্বাচনে কেন নেই? ওখানে গিয়ে তো সর্বভারতীয় দল হিসেবে তাদের একটা দায়িত্ব ছিল। কিছু আসন দিতে পারতেন। কিন্তু সর্বভারতীয় দল তৃণমূল কংগ্রেস বিহারে নেই, এটা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে।”