প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ সংসদে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করা হচ্ছে। যেখানে সেই বিলে বলা রয়েছে যে, দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে কোনো মন্ত্রী যদি ৩০ দিনের বেশি হেফাজতে থাকেন, তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর যদি তিনি পদত্যাগ না করেন, তাহলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আর এই বিষয়গুলো সামনে আসার পরেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা এই বিলের প্রবল বিরোধিতা করতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সংসদে শুরু হয়েছে চরম হট্টগোল। আর তার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা এই বিলের কঠোর সমালোচনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে সোচ্চার হলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই বিল আনার সাথে সাথেই দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা গর্জে উঠেছেন। অনেকেই বর্তমান পরিস্থিতিকে এমার্জেন্সির সঙ্গে তুলনা করছেন। আর তার মধ্যেই এবার যে বিল কেন্দ্রীয় সরকার এনেছে, তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিভাবে এই বিল আইনে পরিণত হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। পাশাপাশি এই বিল আনার পেছনে যে বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে, সেই কথাও উল্লেখ করলেন এই কংগ্রেস সাংসদ।
এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, “সম্পূর্ণ মধ্যযুগীয় আচরণ। দুর্নীতি বিরোধী ব্যবস্থার নামে আসলে মানুষের চোখে পট্টি বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। কাল যে কোনো মুখ্যমন্ত্রীর নামে কোনো অভিযোগ দায়ের করে বিচার ছাড়াই তাকে ৩০ দিনের জন্য আটকে রাখতে পারেন। তাতেই আর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না তিনি? এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল এনেছে, তাতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সবথেকে বেশি চিন্তিত যে, তাদের যে সমস্ত রাজ্যের সরকার রয়েছে, সেই সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্যই কেন্দ্র এই চেষ্টা করছে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এবং এই বিলের বিরোধিতা করে সোচ্চার হচ্ছেন একের পর এক বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা।