প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার কাছে জনতা দাবি জানাতেই পারেন। তার কাছে পৌঁছানো যায় না নিরাপত্তারক্ষীদের কারণে। সঠিকভাবে মনের কথা খুলে বলতে পারেন না সাধারণ মানুষ। তাই প্রকাশ্য সভায় কেউ একজন আজ কিছু একটা বলতে গিয়েছিলেন। আর তাতেই কি এত বিরক্তি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? কোচবিহারের সভায় তিনি যে সমস্ত কথা বললেন, তারপর প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

অতীতেও দেখা গিয়েছে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তার সভায় কিছু মানুষ কিছু বলতে গিয়েছিলেন। আর যখনই জনতা কিছু একটা বলতে যায় সভায়, তখনই মুখ্যমন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। এভাবে প্রকাশ্য সভায় সভা ভন্ডুল করার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও অনেক সময় মন্তব্য করেছেন তিনি। আর আজ কোচবিহারে তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন কেউ একজন কিছু একটা দাবি জানাতে যান। আর সাথে সাথেই তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে সেখানে পাঠিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মঞ্চ থেকে তিনি যে সমস্ত কথা বললেন, তাতেই স্পষ্ট যে, এইভাবে মিটিংয়ে ছেদ ঘটানোয় তিনি অত্যন্ত বিরক্ত।

এদিন কোচবিহারের দলীয় সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই তিনি দেখতে পান যে, নিচ থেকে কেউ একটা তার দাবি জানাচ্ছেন। আর সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওনাকে ওখানে দাঁড় করান। আমি হিপ্পিকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। ও শুনে নিচ্ছে। আমি আপনাদের একটা কথা বলি, কারও কোনো দাবি থাকতেই পারে। কিন্তু মিটিংয়ে এভাবে করবেন না। মিটিংটা ব্যক্তিগত দাবি জানানোর জন্য নয়। রাস্তায় তো আপনারা আমাকে চিঠি দেন, নিয়েও নিই। যতটা চেষ্টা করি করে দেওয়ার। মিটিং ডিস্টার্ব করে তো কোনো লাভ নেই। কিছু লোকের স্বভাব আছে।”