প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- উত্তরবঙ্গের ত্রাণ কার্যে শামিল হতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, তা কার্যত বেনজির ঘটনা এই রাজ্যের বুকে। জন প্রতিনিধিরা বিপদের দিনে মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে, যেভাবে একজন সাংসদ রক্তাক্ত হয়েছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত! বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করছে, এর পেছনে তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই রয়েছে এবং একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে দিয়ে তৃণমূল এই কাজ করিয়েছে। যদিও বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন যে, তারা কিছুই করেননি। উল্টে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা সেখানে গিয়ে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছিল জন্যেই তারা এই হামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এমনটাই দাবি তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। তবে এই হামলা যে পূর্বপরিকল্পিত এবং এটা যে তৃণমূলের পক্ষ থেকেই করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। আর আজ আক্রান্ত বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়ককে দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলীরা কিভাবে হামলা করেছে, তা নিয়ে তথ্য পেশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ত্রাণ কার্যে সামিল হতে গিয়ে বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধি যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সর্বভারতীয় নেতৃত্বও নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যে ঘটে যাওয়া এই ভয়ংকর ঘটনা নিয়ে। সকলেই দাবি করছেন, এবার এই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। তবে তৃণমূল অস্বীকার করছে যে, তাদের পক্ষ থেকে এই ঘটনা কোনোভাবেই করা হয়নি, এটা মানুষের জনরোষের মুখে পড়েছে বিজেপি। তবে শাসকের সেই যুক্তিকেই রীতিমত খন্ডন করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি আজ যে তথ্য সামনে আনলেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই হামলার পেছনে একমাত্র রয়েছে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র।

এদিন আক্রান্ত বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই তাদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পেছনে তারা জড়িত নয় বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে সুকান্তবাবু আক্রান্ত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন, এর পেছনে একমাত্র রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সেদিন যারা সেই ত্রানকার্যে গিয়েছিলেন, তারা রাজনৈতিক আক্রমণ, রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। খগেন মুর্মুর ফেসিয়াল বোন ভেঙে গেছে। আমি কথা বললাম ওনার সঙ্গে। ওনার কথা বলা বারণ, তবুও অল্প অল্প বলতে পারছেন। শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছি। যারা আক্রমণ করেছে, তারা পরিষ্কার বলেছে, “আমরা দিদির সৈনিক, এখানে বিজেপি কেন আসবে!” তাহলে বারবার সম্পত্তি পেয়েছে নাকি! এটা পাকিস্তান নাকি যে, ওখানে বিজেপি যেতে পারবে না!”