প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, সেখানে যে শুধুমাত্র সমস্ত কিছু করার অধিকার একমাত্র তৃণমূল এবং তাদের নেতাকর্মীদেরই আছে, তা বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে ত্রাণ দিতে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছে বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মুকে আক্রান্ত হয়েছেন। আরও এক বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে শুধু তারাই নয়, বিজেপির আরও অনেক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জন প্রতিনিধিরাও আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তৃণমূল একতরফা হামলা করে যদি ভেবে থাকে যে, তারা মানুষকে ভয় দেখাবেন, তাহলে সেই দিন শেষ হয়ে এসেছে। তাই বিজেপিও এবার পাল্টা তৃণমূলকে মোকাবিলা করার রাস্তা বেছে নিয়েছে। যার ফলস্বরূপ হামলা হওয়ার পর এবার থানায় যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাও।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ত্রাণকার্যে সামিল হতে গিয়ে বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়ক যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আর এর মাঝেই গতকাল ত্রাণ বিলি করতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হতে হয় কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওকে। যেখানে তার গাড়িতে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার সেই বিজেপি বিধায়ক নিচ্ছেন বড় পদক্ষেপ।
জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাও ত্রাণ বিল করার সময় তার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আর সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ সেই বিজেপি বিধায়ক কুমারগ্রাম থানায় যাচ্ছেন। যেখানে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি। অর্থাৎ তৃণমূল যদি হামলা করে, তাহলে তাদের যে কোনোমতেই ছেড়ে কথা বলা হবে না, তা বিজেপি বিধায়কের এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদিও বা পুলিশ প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেবে কিনা, সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু আইনের রাস্তায় গিয়ে প্রাথমিক যা কর্তব্য, সেটা যে বিজেপি করবে, তা কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়কের এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।