প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালোমতই বুঝতে পারছেন যে, উত্তরবঙ্গে ত্রাণ দিতে গিয়ে যেভাবে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু রক্তাক্ত হয়েছে, যেভাবে তার ওপর হামলা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটা বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যে বিরোধীদের পক্ষ থেকেও দাবি করা হচ্ছে যে, অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। আর সেই কারণেই কি এখন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে অন্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন? ইতিমধ্যেই তিনি দাবি করেছেন যে, খগেন মুর্মুর ওপর যে হামলা হয়েছে, তার পেছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। আর মুখ্যমন্ত্রী যখন এই ধরনের কথা বলছেন, তখন তার এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

গতকালই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরেছেন। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খগেন মুর্মুর ওপর যেভাবে রক্তাক্ত হামলা হয়েছে, যেভাবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তা নিয়ে একটি অন্যরকম মন্তব্য করে বসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, “খগেন মুর্মুর উপর যে হামলা হয়েছে, তার পেছনে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মত ঘটনা নেই তো?” অর্থাৎ তিনি ঘুরিয়ে এই হামলার পেছনে বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকেই দায়ী করে তৃণমূলের পেছনে যে কোনোভাবেই নেই, সেই বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপিয়ে গোটা পরিস্থিতি থেকে বাঁচার চেষ্টা করলেও, তাকে ছেড়ে কথা বললেন না রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয় আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? যাদের নামগুলো আপনারা দেখেছেন, তার মধ্যে রয়েছে পিঙ্কি বেগম। সে তৃণমূলের উপপ্রধান। সে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করবে? মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। উনি প্রত্যেকটি হিংসার ঘটনাকে এইভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে চালানোর চেষ্টা করছেন। যদি এটা বিজেপিরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়, তাহলে আমরা যাদেরকে গ্রেফতার করার কথা বলছি, তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা হোক। আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।”