প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল থেকেই নেপালে বিধ্বংসী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে জনতার বিক্ষোভ ভয়ংকর আকার ধারণ করেছিল সরকারের বিরুদ্ধে। জনতার রোষ আছড়ে পড়েছিল রাজপথে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নি সংযোগের মত ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে শুরু করে। যার ফলে বাধ্য হয়ে একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি কি করবেন, তার দিকে নজর ছিল সকলের। তবে অবশেষে পদত্যাগ করলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নেপালে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তার সমাধান করতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে তিনি একটি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক পর্যন্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর প্রধান সেই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেন। আর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কে পি শর্মা অলি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিকল্প কোনো রাস্তা ছিল না। কারণ যেভাবে তার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, তাতে যে কোনো সময় তিনি পদত্যাগ না করলে আরও ভয়ংকর কোনো ঘটনা ঘটতে পারতো। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মত ঘটনার খবর সামনে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই তার বিরুদ্ধে যে মানুষের একটা প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে এবং সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ যেভাবে বিধ্বংসী দিকে এগোচ্ছে, তাতে পদত্যাগী একমাত্র বিকল্প উপায় হতে পারে বলেই মনে করেছিলেন একাংশ। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পর নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমিত হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।