প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাকে তৃণমূল সাসপেন্ড করেছে। তারপর তিনি বাবরি মসজিদ করেছেন। গোটা দেশ জুড়ে তাকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে। সকলের একটাই প্রশ্ন, কেন তিনি বাবরের নামে মসজিদ করবেন? আর এসবের মধ্যেই আবার মিম সহ আইএসএফ এবং বাম, কংগ্রেসের সঙ্গেও তিনি ভবিষ্যতে জোট করে লড়াই করবেন বলে দাবি করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক।
ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ শিলান্যাস নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলই একে অপরের দিকে দায় ঠেলতে শুরু করেছে। এদিকে হুমায়ুন কবীর শুধু বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেই থেমে থাকছে না। তিনি আবার সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশকে প্রার্থী করে জিতিয়ে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ২২ ডিসেম্বর নতুন দল গঠন করার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন হুমায়ুন কবীর। তার দাবি, প্রাণনাশের জন্য তাকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “রোজ বাইরের রাজ্য থেকে ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের কাছে যেমন তিনি মেইল মারফত আবেদন জানাবেন, ঠিক তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও তিনি আবেদন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন হুমায়ুনবাবু। আর এখানেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন যে, তাহলে কি সত্যিই প্রাণনাশের হুমকির জন্য ফোন পাচ্ছেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড এই বিধায়ক? নাকি শুধুমাত্র নিজের দর বাড়ানোর জন্যই তার এই সমস্ত কথাবার্তা? শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।