প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেশের একাধিক রাজ্য শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। যেখানে স্বচ্ছ ভাবে এই প্রক্রিয়াকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব রয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। তাদের ওপর ব্যাপক চাপ রয়েছে এই কাজকর্ম করার। অনেক ক্ষেত্রেই তারা সমস্ত কিছু সামলে দিনভর এক করে এই কাজের ক্ষেত্রে সময় দিচ্ছেন। তবে অনেকেই রয়েছেন, যারা নির্দিষ্ট সময় ফর্ম ফিলাপ করছে না। যার ফলে বিএলওদের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে টার্গেট এবং নির্দেশিকা আসছে, তা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যখন সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে কেউ বলছেন যে, কাজের চাপের জন্য আমরা এই ফর্ম ফিলাপ করতে পারছি না, তখন এক ব্যতিক্রম ছবি ধরা পড়লো রাজস্থানে। যেখানে এক কৃষকের হাত থেকে কোদাল কেড়ে নিয়ে তাকে এসআইআরের ফর্ম ফিলাপ করানোর জন্য উৎসাহ দিতে নিজেই সেই কৃষকের কাজ শুরু করে দিলেন বিএলও।

পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, অনেক জায়গাতেই বিএলওরা নাকি মানসিক চাপের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অন্তত তৃণমূলের পক্ষ থেকে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু সেই দাবির কতটা সত্যতা রয়েছে, অন্যান্য রাজ্যে তো বিএলওরা কাজ করছেন, সেখানে কেন কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন না, বা এসআইআরের মানসিক চাপে কারও মৃত্যু হচ্ছে না, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই এক অন্য ছবি দেখা গেল রাজস্থানের টঙ্কে। যেখানে এসআইআরের ফর্ম এক কৃষক পূরণ করতে না পারার কারণে তারা নিজের হাত থেকে কোদাল কেড়ে নিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করে দিলেন বুথ লেভেল অফিসার। যাতে সেই ফর্ম ততক্ষণে ফিলাপ করতে পারেন সেই কৃষক। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যা দেখে সকলেই বিএলওর কাজের প্রতি এই নিষ্ঠাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেই বলে কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং দায়িত্ববোধ। বিএলও দেখতে পাচ্ছেন যে, তাকে নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তা তাকে পূরণ করতে হবে। আর সেই কারণেই একজন কৃষকের কাছে গিয়েও যখন তিনি ফর্ম পূরণ করার কাজ দেখতে পেলেন না, তখন সেই কৃষকের কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ নিজেই করে দিলেন বিএলও। যাতে সেই কৃষক ততক্ষণে ফর্ম ফিলাপ করে দিতে পারেন। যা এসআইআরের ক্ষেত্রে জনসাধারণের কাছে এক বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।