প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তৃণমূলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তারাই শাসকের রোষানলে পড়বে। এতদিন পুলিশ প্রশাসন দিয়ে মিথ্যা মামলা করার একটা প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু ২০২৬ এর নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল আরও বেশি করে আইন হাতে তুলে নিতে শুরু করেছে। এখন তারা পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েও কিছু করতে রাজি নয়। এখন তারা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিয়ে যারা বিরোধী কণ্ঠস্বর, তাদের দমন করার সব রকম চেষ্টা বেছে নিয়েছে। মালদহের বুকে যে ঘটনা ঘটে গেল, তারপর তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। যেখানে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে রীতিমত পার্টি অফিসের ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

বলা বাহুল্য, এই রাজ্যটায় যে অরাজকতা চলছে, তার বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষও গর্জে উঠছেন। সকলের একটাই বক্তব্য যে, কবে এই সরকারের বিদায় হবে! তাই সকলেই গণতান্ত্রিকভাবে এই সরকারকে বিদায় জানাতে ২০২৬ এর নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার আগেই যেভাবে হিংসাত্মক পরিস্থিতি শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, তাতে আতঙ্ক বাড়ছে। এবার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সংবীত গোস্বামীকে রীতিমত তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে আসা হলো। আর তারপরেই তার বাবা বিজেপি করার কারণে তৃণমূল কাউন্সিলার কাকলি চৌধুরী সেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সেই তৃণমূল কাউন্সিলের অনুগামীরা সেই বেধড়ক মারধর করে। আর তারপর সেই পড়ুয়ার বাবা কাজল গোস্বামী এসে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়।

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার অভিযোগ, প্রথমে তাকে মিশন থেকে তুলে তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়‌। আর তারপরেই সেখানে তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী এসে তাকে মারধর করেন। এমনকি তার বাবা কেন এত বাড়াবাড়ি করছেন, তা নিয়েও তাকে প্রশ্ন করা হয়। পরবর্তীতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে থাকা ছেলেরাও তাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন সেই পড়ুয়া। আর আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে, কাকলি চৌধুরী নামে তৃণমূলের যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি আবার ইংরেজবাজার পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সহধর্মিনী। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে তৃণমূলের কাউন্সিলর এবং অন্যদিকে চেয়ারম্যানের স্ত্রী হয়ে কি করে তিনি এত বড় ঘটনা ঘটালেন, কেন তিনি একজন নিরীহ ছাত্রকে এইভাবে পার্টি অফিসের ডেকে মারধর করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের পদক্ষেপ কি হয়, পুলিশ কবে অ্যাকশন নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।