প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে বালি, কয়লার দুর্নীতি এবং কেলেঙ্কারি নিয়ে মাঝেমধ্যেই সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী নেতাদের। এমনকি এই রাজ্যের শাসক দলের নেতাদেরও যোগ রয়েছে বলে বিভিন্ন সময় বিজেপি নেতাদের দাবি করতে দেখা গিয়েছে। তবে তদন্তের গতি প্রকৃতি যেভাবে চলছে, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিরোধীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কয়লা কাণ্ডে তল্লাশি চালাতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই তৃণমূলের সর্বোচ্চ মাথা যিনি, তার পরিবারের সদস্যের কথা উল্লেখ করে ভয়ংকর তথ্য ফাঁস করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় হয়ে ময়দানে নামতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকদের। কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি জেলায় জেলায় পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, কয়লা কান্ডের রহস্য ভেদ করতেই তাদের এই সক্রিয়তা। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তল্লাশির পাশাপাশি আসল মাথাদের ধরে ভেতরে ঢোকানোর দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এসবের মধ্যেই শাসক দলের সঙ্গে এই কয়লা কান্ডের যোগের কথা উল্লেখ করে আরও বড় তথ্য সামনে আনলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কয়লা কাণ্ডে ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, “দেখুন, কয়লা চুরির সঙ্গে অনেকে জড়িত। নির্বাচনের আগেও আমরা দেখেছি, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বময় কর্ত্রী বা তার বাড়ির লোকজনের নাম এসেছে। কার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে নাকি টাকা গেছে! বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ আমরা সেই সময় দেখেছি। তদন্ত হওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত হওয়া উচিত। যারা অপরাধী, তাদের জেলের ভেতরে যাওয়া উচিত। অনেকেই আছে। ওই এলাকার মন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় নেতার নাম আছে। অনেক পুলিশ অফিসারের নাম আছে।” আর সুকান্তবাবুর এই বক্তব্যের পরেই সবথেকে বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে এই কয়লা চুরির? ঠিক কার দিকে ইঙ্গিত করতে চাইলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি? চর্চায় রাজনৈতিক মহল।