প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের যারা দুর্নীতি বিরোধী মানুষ, তারা প্রত্যেকেই চাইছেন যে, যারা দুর্নীতি করেছে, তারা জেলে যাক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করছে। মাঝেমধ্যেই তাদের তদন্তের গতিপ্রকৃতি বৃদ্ধি পায়। আবার মাঝেমধ্যেই ধীর গতিতে চলে তদন্ত। অনেকের বাড়িতে গিয়েই তারা তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু সমাজের চোখে সেই সমস্ত ব্যক্তিরা তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কোটিপতি হয়েছেন বলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও, তাদের বিরুদ্ধে সেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আজ সকাল থেকে আবার ইডির তৎপরতা নজরে এসেছে। রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে পৌঁছে গিয়েছে তারা। তবে কতদিন এই তল্লাশি চলবে, কতদিন তদন্তের নামে এই দীর্ঘসূত্রিতা চলবে, তা নিয়ে অনেক বিজেপি নেতাও মাঝেমধ্যেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। আর এবার একেবারে সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে যে তারাও বিরক্ত, তা রাখঢাক না করেই জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বুকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক তদন্ত করছে। একাধিক চুরি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা তদন্ত প্রক্রিয়ায় শুরু করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই চলা তদন্তের তো শেষ হবে! কবে সেই তদন্তের শেষ হবে, আর কবেই বা যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের জেল যাত্রা দেখবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ! তার দিকে সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্য জনকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি বা জেরা করার প্রক্রিয়াই শেষ হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের এই ধরনের পদ্ধতি নিয়ে জনমানসেও তাদের সম্পর্কে একটা খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে। অনেকেই বলছেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিছুই করতে পারবে না। আর এবার যে বিজেপি দল কেন্দ্রের ক্ষমতায় রয়েছে, রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে চলা কেন্দ্রীয় এজেন্সির যে তদন্ত, সেই তদন্তের ক্ষেত্রে সেই এজেন্সির ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি।

এদিন সাত সকাল থেকে ইডির যে তৎপরতা, সেই বিষয়ে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইডি, সিবিআই দীর্ঘদিন ধরে চলছে। মানুষের এখনও ইডি, সিবিআইয়ের ওপরে ভরসা রয়েছে। কিন্তু এই তদন্তের দীর্ঘসূত্রীতা, মাঝেমধ্যে থামে, মাঝেমধ্যে আবার উঠে যায়। এই সমস্ত কিছু দেখে মানুষ ক্লান্ত এবং হতাশ। আমরাও বিরক্ত।” অর্থাৎ শুধুমাত্র মানুষের মধ্যে হতাশা কাজ করছে, তাই নয়। বিজেপির এই রাজ্যের সর্বোচ্চ নেতৃত্বও যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট হতাশ, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য। তবে এরপরেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির ঘুম ভাঙ্গে কিনা, যদি সত্যিই তারা তদন্ত প্রক্রিয়াকে শেষ করতে চায় বাংলার মানুষের স্বার্থে, তাহলে দ্রুত সেই তদন্ত প্রক্রিয়া তারা কবে শেষ করে এবং কবে রাঘব বোয়ালদের জেলযাত্রা দেখতে পায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।