প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এর আগে কলকাতায় দ্যা বেঙ্গল ফাইলসের ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে ব্যাপক ধন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। যেখানে পুলিশ দিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের এমন নির্লজ্জ মানসিকতা নিয়ে সোচ্চার হন স্বয়ং পরিচালক। গোটা দেশের মত পশ্চিমবঙ্গেও কেন এই বেঙ্গল ফাইলস দেখাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগেই পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে বাংলাতে যাতে এই ছবি দেখাতে কোনো সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। আজ ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে সেই বেঙ্গল ফাইলস দেখানো হবে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে যে, আবার কি তাহলে সেই ছবি দেখানোর ক্ষেত্রে বাধাদান হবে? যেভাবেই হোক, সেই ছবি যাতে দেখানো না হয়, তার জন্য শুরু হয়ে যাবে চেষ্টা? তবে যেভাবে এর আগে বেঙ্গল ফাইলস দেখানোর ক্ষেত্রে এবং তার ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে বাধাদান হয়েছে, এবার সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলে সোচ্চার হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এদিন সাংবাদিকরা দ্যা বেঙ্গল ফাইলস নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করেন। আর তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি যেভাবে সেই ছবি ট্রেলারের মুক্তির দিন অশান্তি হয়েছে, তাতে এই বাধাদানের মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন। স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেন থাকবে না! কেন এক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হবে! তা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। এক্ষেত্রে যারা বাধাদান করছেন, তাদের মানসিকতাকে তালিবান শাসনের সঙ্গেও তুলনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা এই বাংলায় আমাদের বিরোধীদের কাছ থেকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক বড় বড় ডায়লগ শুনে এসেছি। কিন্তু বেঙ্গল ফাইলস, আপনি তার সঙ্গে সহমত হতে পারেন, নাও হতে পারেন। কিন্তু দেখানো যাবে না, এই যে স্বৈরাতান্ত্রিক তালিবানি মানসিকতা, এটা কি মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ নয়?” অর্থ্যাৎ জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কেন মত প্রকাশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রতিনিয়ত আন্দোলন করে। কিন্তু বাংলার বুকে যে তৃণমূল সরকারে আছে, সেখানে কেন একটি ছবি দেখানোর ক্ষেত্রে বাঁধা দেওয়া হবে! সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা ঘুরিয়ে এই রাজ্যের শাসককেই রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।