প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেভাবে তৃণমূলকে কাবু করে দিচ্ছেন, যেভাবে প্রতিমুহূর্তে তৃণমূলের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিচ্ছেন এবং সমস্ত রাজ্যবাসীকে সাথে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলকে, তা হয়তো সহ্য হচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই বিভিন্নভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করার চেষ্টা হয়েছে। তবে আইন, আদালত থেকে শুরু করে কোনোভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে জব্দ করা যাচ্ছে না বুঝেই এবার কি জঘন্য চেষ্টা শুরু করে দিলো তৃণমূল কংগ্রেস? আজ যেভাবে কোচবিহারে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হয়েছে, যেভাবে অল্পের জন্য তিনি প্রাণ নিয়ে রক্ষা পেয়েছেন, তাতে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হয়েছে বিরোধী দলনেতার। আদালতের অনুমতি নিয়ে কোচবিহারে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে যেভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তার গাড়িতে হামলা করেছে, কাঁচ ভেঙে দিয়েছে, তাতে আজই হয়ত শেষ দিন ছিল শুভেন্দুবাবুর। কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদে আর মানুষের সমর্থনে প্রাণ রক্ষা হয়েছে তার। তাই গোটা ঘটনার পর নিজের মুখেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

বস্তুত, এদিন কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে বীভৎস হামলা হয়। যেখানে তার গাড়ির কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে যায়। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরবর্তীতে দলীয় কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আজকের ঘটনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ব্যাখ্যা করেন। প্রকাশ্যেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন যে, বুলেট প্রুফ গাড়ি যদি না থাকত, তাহলে এতক্ষণে তার মৃতদেহের সামনে সকলে মালা দিতেন।

শুভেন্দুবাবু বলেন, “অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি। মমতাকে হারিয়েছি, তাই এত রাগ। আমি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে এসেছি। খাগড়াবাড়ি যখনই ঢুকেছি, দেড় হাজার উন্মত্ত হায়নার দল, পাগল কুকুরের দল, চোরের ব্যাটা চোর উদয়ন গুহর নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি যদি ওই বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, আপনারা আজকে মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে ফুল দিতেন। পাথর দিয়ে গাড়ি ভেঙেছে। প্রত্যক্ষ খুনী যদি উদয়ন গুহ হয়, তাহলে পরোক্ষ খুনি রাজীব কুমার।”

এখন তৃণমূল বলতেই পারে যে, শুভেন্দু অধিকারী এই সমস্ত নাটক করছেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র তো অন্য কথা বলছে। সত্যিই তো শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে যেভাবে আজকে হামলা হয়েছে, সেই ভিডিও তো প্রকাশ্যে ঘুরছে। কেন এই রাজ্যের পুলিশ সামান্য বিরোধী দলনেতাকে নিরাপত্তা দিতে পারে না? তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন কতটা অপদার্থ! যেখানে বিরোধী দলনেতাকে জীবন হাতে নিয়ে ঘুরতে হয়, সেখানে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির নীচুতলার নেতা কর্মীদের প্রাণের মূল্য যে এই রাজ্যে নেই, তা তো শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকে এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শুনে সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে আজকে হামলা হলো, যদি তাতে বড় কিছু ঘটে যেত, তাহলে তার জবাব কি দিতে পারত এই রাজ্যের প্রশাসন? তাহলে কি কোনোভাবেই শুভেন্দুবাবুকে জব্দ করা যাচ্ছে না বুঝেই তাকে প্রাণে মেরে ফেলার খেলায় এবার মেতে উঠেছে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের নেশায় মত্ত হওয়া দুষ্কৃতী দল? প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতাকর্মীরা।