প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ইতিমধ্যেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যদি এসআইআর না হয়, তাহলে কোনোমতেই নির্বাচন হবে না। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবার এসআইআরের বিরোধিতা করে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এসআইআরকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে যে রাজনৈতিক তরজা বাড়তে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নির্দিষ্ট সময় এসআইআর না হলে ভোট হবে না,আর যদি ভোট সঠিক সময় না হয়, তাহলে ২০২১ এ যেদিন সরকার গঠন হয়েছিল, সেদিন থেকেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাবে বলে ফের হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতারা এসআইআরের বিরোধিতা করে হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। কোথাও বিজেপি নেতাদের বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও বা রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করছেন তৃণমূল নেতারা। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির দাবি, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর সেটাই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের কাছে। তবে এই এসআইআরের বিরোধিতা করে তৃণমূল যতই মিছিল মিটিং করুক, তারাও যে এসআইআরের পক্ষে কর্মসূচি করবে এবং সঠিক সময় ভোট না হলে রাজ্যে যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে, উত্তরবঙ্গের সভা থেকে তা জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

গতকাল নাগরাকাটার সভা থেকে এসআইআরের পক্ষে মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা যেভাবে তার বিরোধিতা করছেন, তা নিয়ে সোচ্চার হোন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “ভারতবর্ষের শেষ কথা বলবে সংবিধান। পারলে এসআইআর আটকে দেখান। বলছে, ২ তারিখ থেকে মিছিল করব। করুন মিছিল। আমরাও পাল্টা মিছিল করব। নো এসআইআর, নো ইলেকশন। এসআইআর করতে দেবে না, এসআইআর না হলে ভোটার লিস্ট তৈরি হবে না। ভোটার লিস্ট তৈরি না হলে ভোট হবে না। আর ভোট না হলে ২০২৬ এর ৪ মে রাত্রি ১২ টার পর থেকেই রাষ্ট্রপতি শাসন।”