প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার রিপোর্ট– বর্তমানে গোটা রাজ্যে আলোচনার বিষয় একটাই, সেটা হচ্ছে, কসবা আইন কলেজ। যেখানে কিছুদিন আগেই ঘটে গিয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই প্রাক্তন ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু কসবা ল কলেজ নয়, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের তৃণমূলের এইরকম মনোজিৎ মিশ্রের মত দাদারা রয়েছেন। আর এর মধ্যেই এবার সেই কসবা ল কলেজ আজ সকাল থেকেই ফের খবরের শিরোনামে চলে এলো। কিন্তু আবার কি ঘটলো সেখানে?
বলা বাহুল্য, গোটা রাজ্যের নজর এখন শিক্ষাঙ্গনগুলির দিকে। বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গন তৃণমূলের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। আর এসবের মধ্যেই কসবা ল কলেজ এতদিন বন্ধ থাকলেও, আজ সকাল থেকেই তা খোলা হয়েছে। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে সেখানে প্রবেশ করছেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এদিন সকাল থেকেই কলেজের গেটের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নিয়ম মেনে পরিচয় পত্র দেখে দেখে ঢোকানো হয় শিক্ষার্থীদের। কোথাও যাতে কোনো খামতি না থাকে, কেউ যাতে বহিরাগত হয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, কসবা ল কলেজের এই ঘটনার পরেই গোটা রাজ্য জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, বাধ্য হয়েই কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে অবশেষে আজ ফের কলেজের দরজা খুলেছে। যার ফলে গোটা রাজ্যের নজর সেই কসবা কলেজের দিকে। তবে কলেজ খুললেও এবং পঠন-পাঠন পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হলেও গার্ড রুম এবং ইউনিয়ন রুম এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, গোটা রাজ্য জুড়েই কোনো কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষাক্ষেত্রের দখল নিতে চাইছে। আর সেই কারণেই এই মনোজিৎ মিশ্রের মত দাদাদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। তাই শিক্ষাঙ্গন খোলার পাশাপাশি সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর তৃণমূল যতদিন সরকারে থাকবে, ততদিন শিক্ষাঙ্গন কোনোভাবেই নিরাপদ থাকবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।