প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল দলের কাউকে তেমনভাবে পাত্তা দেন না। কারণ তিনি তৃণমূল দলের যিনি নেত্রী, যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করে দেখিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে যে তৃণমূলের বাকি সবাই একেবারেই গৌন, তিনি যে বাকি কারওর কথার উত্তর দিয়ে নিজের লেভেলটাকে নিচু করতে পারবেন না, এটা বারবার করে স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কোম্পানির কর্মচারীদের কথার যে তিনি উত্তর দেন না, একমাত্র মালিক কিছু বললে তিনি যে তার উত্তর দেবেন, অনেক ক্ষেত্রেই সেই কথা বলে তৃণমূলের বাকি নেতা কর্মীদের রীতিমত লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। আর এবার তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই চাঁচাছোলা ভাষায় তার জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ইতিমধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হওয়া নিয়ে রীতিমত উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের কাছে এই যুক্তি উপস্থাপিত করা হচ্ছে যে, এসআইআর হলে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতারা আবার হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলায় যাতে এসআইআর না হয়, তার জন্য বিভিন্ন রকম আন্দোলনের কথা বলছেন। তবে বিজেপি সেই সমস্ত কিছুতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের যুক্তি, নির্বাচন কমিশন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মত বাংলাতেও এসআইআর করবে। তবে বিহারের মতো বাংলাতেও এসআইআর হলে মাথা উঁচু করে চলতে পারবেন তো? এবার সেই প্রশ্ন তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে জনসাধারণের ক্ষোভ বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। আর তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষের বক্তব্য নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। আর তার সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওর কথার উত্তর আমি দেবো? আপনি একটু লেবেল দেখে কথা বলুন। ওই রকম গ্রুপ ডির কর্মচারীর কথার উত্তর আমি দিই না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুতসই জবাব হয়ত একেই বলে। সায়নী ঘোষের বক্তব্য নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করতেই তিনি ছোট্ট একটি প্রতিক্রিয়া দিলেন। কিন্তু সেই প্রতিক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এই সমস্ত ছোটখাটো ব্যক্তির কথায় উত্তর দেন না। ঘুরিয়ে সেই সায়নী ঘোষকেই গ্রুপ ডির কর্মচারী বলে কার্যত সেই অভিনেত্রী সাংসদকেই লজ্জার মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।