প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বর্তমানে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা অনেক বেশি চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করেছে। তারা দাবি করছেন যে, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যর্থ। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। ইত্যাদি, ইত্যাদি অনেক কথা তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু যে বাংলা এখন সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে, যে বাংলায় মাঝে মধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনার খবর সামনে আসে, সেই বাংলার শাসক দলের নেতারা কি করে এমন কথা বলছেন? তাদের আদৌ কি এই ধরনের কথা বলার অধিকার আছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। এমনকি রাজ্যের শাসক দলকে রীতিমত লজ্জায় ফেলে দিয়ে বাংলায় যেভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, তাতে দেশের যে কোনো প্রান্তে সন্ত্রাসবাদীদের যদি কোনো কার্যকলাপ সামনে আসে, তাহলে তার সঙ্গে বাংলার কোনো না কোনো ভাবে যোগ পাওয়া যায় বলে ভয়ংকর দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বর্তমানে দিল্লির বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক কথা বলতে শুরু করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ যে সন্ত্রাসবাদীদের আতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে, সেই বিষয়টি কেন তারা ভুলে যাচ্ছেন? বিজেপি প্রশ্ন তুলছে যে, পশ্চিমবঙ্গে এখন প্রায়শই বোমা, বারুদের গন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিনিয়ত বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরনে শিশু আহত হচ্ছে। আবার কোথাও বা বোমা মজুত হচ্ছে, এরকম খবর সামনে আসে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই যে সন্ত্রাসবাদের একটা গভীর চক্রান্ত গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, সেই কথা কেন তৃণমূলের নেতারা স্বীকার করছেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই যে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের নেতারা দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে এত বেশি কথা বলছেন এবং বিজেপিকে আক্রমণ করছেন, সেই রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বড় তথ্য ফাঁস করে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই গোটা দেশে এখন যে কোনো বিস্ফোরণের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের যোগ পাওয়া যায় বলে দাবি করেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এখন গ্যাস সিলিন্ডারই ফাটে। অন্য কিছু তো এখন ফাটে না। আর গোটা দেশে এই যে বিস্ফোরণ এবং এই উগ্রপন্থী যে কার্যকলাপ হয়, তার কোনো না কোনো যোগ পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যাবে।” অর্থাৎ বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গ যে নিরাপদ নয় এবং পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকতে শুরু করেছে এবং বাংলাকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বানিয়ে নিয়েছে, তাতে ভারতবর্ষের কোথাও যদি জঙ্গি উপদ্রব এবং সেরকম কোনো কার্যকলাপ হয়, তাহলে তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেরই যোগ পাওয়া যাবে বলে ঘুরিয়ে এখানকার প্রশাসন এবং সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।