প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বঙ্গ বিজেপির যারা নেতা কর্মীরা রয়েছে, তারা সকলেই চাইতেন যে, বিজেপির দিল্লির নেতারা একটু তাদের সাপোর্ট দিন। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে, তাতে দিল্লি তাদের সাথে আছে তো! এই প্রশ্ন এতদিন কর্মীদের মধ্যে ছিল। এমনকি অনেক নেতাদের মধ্যেও এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। তবে আজ রাজ্য বিধানসভায় যেভাবে বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা হতে হলো, যেভাবে প্রতিবাদ করার জন্য একজন বিজেপি বিধায়ক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন, তারপরই দিল্লি থেকে ফোন এলো। আর এক ফোনেই আরও বেশি তৃণমূল বিরোধিতার ক্ষেত্রে চাঙ্গা এবং চনমনে হয়ে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিমুহূর্তে জব্দ করছেন রাজনৈতিকভাবে। আর আজ বিধানসভায় বিজেপি যে লড়াইটা দিয়েছে, তা দেখার মত। আর সেই খবর পেয়েই বিজেপির যে সমস্ত বিধায়ক অসুস্থ হয়েছেন, তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির এই লড়াইয়ের প্রশংসা করে তাদের উৎসাহ প্রদান করলেন জেপি নাড্ডা।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রথম থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার জন্য তিনি হয়ত অধিবেশনে ছিলেন না। তবে বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা লাগাতার প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, অত সহজে তিনি ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে যেতে পারবেন না। যার ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক ক্ষেত্রেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। তবে বিজেপির একজন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আরও এক বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ তিনিও হাসপাতালে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই এই লড়াই যা বিজেপি লড়ছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেই লড়াইতে উৎসাহ প্রদান করতে এবার দিল্লি থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নিজেই ফোন করে এই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন। আর নিজের মুখে সেই কথা জানিয়ে তাদের কাজ করার উৎসাহ যে আরও অনেক বেশি বেড়ে গেল, তা জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তিনি বলেন, “আমাদের একজন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর একজন বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ, তিনিও হাসপাতালের পথে। আর তাদের স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি এটাও বলেছেন যে, লড়তে রহো। আর তার এই উৎসাহ প্রদান, তার এই ফোন, আমাদের কাজের ক্ষেত্রে আরও অনেকটা উৎসাহ বাড়িয়ে দিলো। আরও বেশি করে লড়াই করার উৎসাহ পেল টিম বিজেপি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে লড়াইটা বাংলায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে করতে হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের, তা আজ খুব ভালো মতই বুঝতে পেরেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। যেভাবে বিধানসভার অধিবেশনের ভেতরের চিত্র প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তাতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝেছে যে, বাংলায় লড়াই করাটা কতটা কঠিন। তাই যে লড়াই তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির বিধায়করা করছেন, তাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য একেবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ফোন করে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য তৃণমূল বিরোধীতার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে উৎসাহ পেয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দুবাবুর এই উৎসাহ যে ভবিষ্যতে এই রাজ্যের শাসক দলকে আরও বেশি করে বেগ দেবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।