প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সমস্ত সভা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন যে, তৃণমূল সরকার যদি আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে হিন্দু বাঙ্গালীদের অস্তিত্ব বলে কিছু থাকবে না। তাই হিন্দু বাঙ্গালীকে বাচতে হলে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। আজ ব্রিগেডে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হননি। আর সেই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়েই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ভয়ংকর মন্তব্য করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে পরিষ্কার ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনি মনে করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু নন। তিনি হিন্দু শাস্ত্র এবং রীতিনীতির বিরোধী।

আজ ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। যেখানে প্রচুর মানুষ সামিল হয়েছিলেন। আর সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন প্রত্যেকটি সভা থেকে তিনি দাবি করতেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস তোষণের রাজনীতি করেন। আর এবার হিন্দু ধর্মের এই পবিত্র গীতা পাঠের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃত হিন্দু নন বলে দাবি করে বসলেন বিরোধী দলনেতা। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

এদিন ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমি তো মমতা ব্যানার্জিকে হিন্দু বলে মনে করি না।আমি ওনার সঙ্গে কাজ করেছি এবং ওনাকে পরিত্যাগ করেছি। হিন্দু বাড়ির ছেলে হিসেবে পরিত্যাগ করেছি। কারণ তিনি সীমাহীন তোষণ, হিন্দু ধর্মকে কালচারাল প্রোগ্রামে পরিণত করা, পিতৃপক্ষে পূজা উদ্বোধনে যাওয়া এবং মহাকুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলা থেকে, হিন্দু ধর্মকে গন্ধা ধর্ম বলা থেকে, রাম মন্দির উদ্বোধনের বিরুদ্ধে মিছিল বের করানো থেকে হিন্দুদের আঘাত দেওয়ার জন্য যা যা করার তিনি করেছেন। তার পুলিশমন্ত্রীত্বে মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে উঠতে হয়েছে। আয়োজকরা ডেকেছিলেন। কেন ডেকেছিলেন, তারা বলতে পারবেন। তবে আমি মনে করি, মমতা ব্যানার্জি হিন্দু নন। হিন্দু রীতিনীতি, শাস্ত্র বিরোধী।”