প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের আতঙ্কে রীতিমত ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। যে সমস্ত বাংলাদেশি রোহিঙ্গারা এতদিন ভোটার তালিকায় ছিল, তাদের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের আর ক্ষমতায় টিকে থাকা হবে না। ইতিমধ্যেই সেই দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। আর এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে এক আফগান নাগরিক ধরা পড়তেই উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন প্রশ্ন। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে, তাহলে কি এই পশ্চিমবঙ্গকে ঘুরপথে বিদেশী শত্রুদের আতুড়ঘর বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে! যার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস? আর এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র কতটা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে, তার তথ্য ফাঁস করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, এমনিতেই এসআইআর হওয়ার পর এই রাজ্যের বুকে বেশ কিছু এলাকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যে সমস্ত জায়গায় রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীদের নাম ঠিকমত এসআইআর হলে বাদ যাবে বলেই নিশ্চিত বিজেপি। আর তার মধ্যেই ভবানীপুরে এক আফগান নাগরিক ধরা পড়তেই সেখানকার ডেমোগ্রাফি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তার বক্তব্য, আফগান কেন, ভবিষ্যতে যদি পাকিস্তান এবং বাংলাদেশী নাগরিকরাও ধরা পড়ে এই ভবানীপুর থেকে, তাহলেও তারা খুব একটা আশ্চর্য হবেন না।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই ভবানীপুরে এক আফগান নাগরিকের গ্রেফতারি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সুকান্তবাবু বলেন, “ভবানীপুরে আপাতত আফগান নাগরিক ধরা পড়েছে। আমি অন্তত আশ্চর্য হব না, যদি পাকিস্তানি নাগরিক ধরা পড়ে। ভবানীপুর হচ্ছে ওদের জন্য উপযুক্ত জায়গা। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশীকরণ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। তার ছত্রছায়ায় তো আফগান নাগরিক থাকবে, পাকিস্তানি নাগরিক থাকবে, দুই, চারটে বাংলাদেশি নাগরিক থাকবে। তবে না মানাবে!”