প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এসআইআর আবহে গতকাল বনগাঁর সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক মন্তব্য করেছেন। আর তার সেই মন্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভা নির্বাচনের পর তিনি নাকি গোটা দেশ ঘুরবেন, এরকম কথা শোনা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যত গোটা দেশ ঘুরবেন, যত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে লড়াই করবেন, ততই যে বিজেপির লাভ, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেননা অতীতেও দেখা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে কিছুদিন আগেই তেজস্বী যাদবের পাশে ছিলেন। কিন্তু তাদের ভোটের সময় কি করুন পরিস্থিতি হয়েছে, তা গোটা দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত দেশ ঘুরবেন, ততই যে বিজেপির জন্য ভালো এবং তার হাত যার মাথায় থাকবে, তাদের যে করুণ পরিণতি হবে, সেই কথা উল্লেখ করে হাসির রোল ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল বনগাঁর সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ভারত হিলিয়ে দেওয়ার মত মন্তব্য করেছেন। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যিনি নন্দীগ্রামে তার কাছে জিততে পারেন না, তিনি ভারত কি করে হেলাবেন, তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভারত ভ্রমণ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর হাত যার মাথায় থাকবে, ভোটের বাক্সে তাদের করুন ফলাফল দেখতে হবে। এক্ষেত্রে অখিলেশ যাদব এবং তেজস্বী যাদবের যে করুণ পরিণতি হয়েছে ভোটের ফলাফলে, সেই তথ্য সামনে এনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চাপে ফেলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন বীরভূমে পরিবর্তন সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই সাংবাদিকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভারত ভ্রমণ নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “উনি ২১ সালের পরেও ঘুরেছিলেন। কদিন আগে তেজস্বীকে আশীর্বাদ করেছেন, এখন দেখতে পাচ্ছেন। উনি অখিলেশের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন বেনারসে, কি কঠিন অবস্থা। উনি যার মাথায় হাত রাখেন, তারই খুব খারাপ অবস্থা হয়। ওনাকে কেউ ডাকে না। কেউ নেবে না ওনাকে। উনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই সনাতনী রাষ্ট্রবাদীরা ওনাকে হারাবে।”