প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ যে কাউকে মানে না, তারা নিজেদের যে সর্বেসর্বা মনে করতে শুরু করেছে, তা বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। অপরাধীদের ধরার বদলে যারা অপরাধ করছে, তাদের সুরক্ষা দিতেই পুলিশ সব থেকে বেশি ব্যস্ত। সেই অভিযোগ বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। আর এবার সল্টলেকে পুলিশের হাতেই মার খেলেন সরকারি আইনজীবী এবং তার ছেলে। যে সরকারি আইনজীবী আবার কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পুত্র। যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে মত্ত অবস্থায় তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমত চাপে প্রশাসন।
কি ঘটনা ঘটেছে? জানা গিয়েছে, গতকাল রাত্রিবেলা সল্টলেকে কলকাতা হাইকোর্টের সরকারি আইনজীবী ছেলের গাড়ি আনতে যাচ্ছিলেন। আর সেই সময় দুজন পুলিশ কর্মী তাকে বাধা দেয়। এমনকি তার পরিচয় জানতে চায়। পরবর্তীতে সেই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসা এবং তারপর সেই পুলিশ কর্মীরা সরকারি আইনজীবীর ছেলেকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি যে দুইজন পুলিশ কর্মী মারধর করেছেন, তারা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ। এদিকে ছেলের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে সেই সরকারি আইনজীবী মনুজেন্দ্রনারায়ণ রায়কেও। জানা গিয়েছে, এই সরকারি আইনজীবীর বাবা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন, যিনি বর্তমানে প্রয়াত। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ যেভাবে মত্ত অবস্থায় সরকারি আইনজীবী এবং তার ছেলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আজ বিকেলেই সেই মামলার শুনানি হবে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল সরকারের আমলে পুলিশের নিরপেক্ষতা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আদালতের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন মামলায় ব্যাকফুটে পড়েছে প্রশাসন। আর এবার এভাবে দুজন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে সরকারি আইনজীবী এবং তার ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠলো এবং মত্ত অবস্থায় দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠলো, তাতে আরও চাপে পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন বলেই মনে করছেন একাংশ। এখন আদালতে শুনানির পরে কি নির্দেশ আসে এবং তার ফলে গোটা ঘটনা পরম্পরা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।