প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের যে কোনো প্রতিবাদকেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন ভয় পায় এবং যেভাবেই হোক তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে, সেই প্রবণতা বার বার দেখেছে বাংলা। ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর যারা যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তি, তারা বারবার করে রাস্তায় নেমেছেন। নিজেদের চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন। একসময় যারা মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, কেন আবার তারা পরীক্ষা দেবেন, এই প্রশ্ন তুলে আবার এসএসসি দপ্তর অভিযানের ডাক দিয়েছেন সেই চাকরিহারা ব্যক্তিরা। আর সেই আন্দোলনের প্রধান কর্মকর্তা, হিসেবে যিনি রাজ্যের বুকে অত্যন্ত পরিচিত নাম, সেই চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে সাত সকালে পৌঁছে গেল পুলিশ। আর এসএসসি অভিযানের দিনেই সুমনবাবুর বাড়িতে পুলিশের এই অভিযান ঘিরে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, আজ এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। ইতিমধ্যেই সেই কথা জানিয়ে দিয়েছেন সুমন বিশ্বাস। তবে গতকালই পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে জানানো হয় যে, এসএসসি অভিযানে পুলিশকে বোমা মারার কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও বা এই অডিও কার, তা নিয়ে সঠিক তদন্ত করার দাবি তুলেছিলেন আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। আর তার মধ্যেই আজ সকালে তার বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। যেখানে গোটা বাড়ি জুড়ে তল্লাশি চালানো হয় বলে খবর।

জানা গিয়েছে, আজ ভোর সাড়ে ৫ টার সময় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশের একটি টিম প্রতিবাদী শিক্ষক সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছে যায়। যেখানে ব্যান্ডেলে তার বাড়িতে ঢুকে গোটা ঘর জুড়ে তল্লাশি চালানো হয়। আর পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা দেখে সুমন বিশ্বাসের ভাই বলেন, “আমার মা অসুস্থ। চোর ধরার মত পুলিশ এসে তল্লাশি করছে। দাদার অপরাধ কি? সে তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। সুবল সোরেন মারা গেল। তাদের জন্য লড়াই করছে।” আর পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা দেখেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, পুলিশ বুঝতে পেরেছে যে, সুমন বিশ্বাসের মত প্রতিবাদীকে দমন করা যাবে না। তাই যেভাবেই হোক, তাকে গ্রেফতার করে, তার মুখ বন্ধ করার জন্যই তাকে ভয় দেখানোর জন্য পুলিশের এই বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি বলেই দাবি একাংশের। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের এই পদক্ষেপের পরে প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসের কি পদক্ষেপ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।