প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার পরিবারের ডাকা নবান্ন অভিযানকে ভেস্তে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সবরকম চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। রাত পোহালেই নবান্ন অভিযান। তবে তার আগেই পরিকল্পনামাফিক হাওড়ার কোনো এক বাসিন্দাকে দিয়ে সেই নবান্ন অভিযান আটকানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। কৌশলগতভাবে পেছনের দরজা দিয়ে মামলাকারীকে সমর্থন করেছিল তৃণমূল সরকার এবং প্রশাসন বলেই দাবি বিরোধীদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল যে, আদৌ কি এই নবান্ন অভিযান হবে? কিন্তু শেষ পর্যন্ত মমতা প্রশাসনকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে নবান্ন অভিযানের ব্যাপারে অনুমতি দিয়ে দিলো কলকাতা হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গত বুধবারই খবর আসে যে, নবান্ন অভিযানকে আটকানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে হাওড়ার এক বাসিন্দা মামলা করেছেন। আর তখন থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয় যে, তাহলে এই নবান্ন অভিযানের ভবিষ্যৎ কি? যদি আদালত নবান্ন অভিযানের বিরুদ্ধে কোনো নির্দেশ দেয়, তাহলে কি তা থমকে যাবে? যদিও বা সকলেই আদালতের নির্দেশের দিকে নজর রেখেছিল। অবশেষে আদালত গতকাল এই নবান্ন অভিযানের ব্যাপারে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যারা অভয়ার মৃত্যুর এক বছর পূরণের দিনে অভয়ার পরিবারের ডাকে এই নবান্ন অভিযানের সামিল হতে চেয়েছিলেন, তারা সকলেই আদালতের এই নির্দেশে রীতিমত উচ্ছ্বসিত।

বিরোধীদের দাবি, প্রশাসনকে দিয়ে নবান্ন অভিযানকে আটকানোর জন্য সব রকম চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। কিন্তু সেখানেও যখন কোনো কাজ হচ্ছিল না, তখন পেছনের দরজা দিয়ে আইনের রাস্তা অবলম্বন করে যাতে নবান্ন অভিযান আটকানো যায়, তার চেষ্টা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আদালত রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে মৌলিক অধিকার, তাকে মান্যতা দিয়েছে। তাই শর্তসাপেক্ষে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন যতই চেষ্টা করুন, রাখী বন্ধনের দিন অভয়ার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে নবান্ন কেঁপে উঠবে বলেই দাবি বিরোধীদের।